শহর জুড়ে অস্বস্তিকর গরম, শরবতে অবাধে মিশছে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল বরফ’, এক চুমুকেই বিপদ!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতা। আর এই অসয্য গরমে শুরু হয়ে গিয়েছে রাস্তার ধারে শরবত, ঘোল, লেবু জল খাওয়া। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গরমে হাঁসফাঁস করছে পথচলতি সাধারণ মানুষ। সেইসময় চোখের সামনে ঠাণ্ডা শরবতের ঠেলা গাড়ি বা লেবু জলের স্টল তাতেই মানুষের ঢল। তবে এই ঠাণ্ডা পানীয়ের মধ্যে মেশানো থাকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল বরফ’, (যে বরফ মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়) যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। সরকার থেকে এর আগেও বহুবার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এই ধরনের বরফ পানীয়ে ব্যবহার না করার জন্য। কিন্তু কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা বুধবার মাঠে নেমে তদন্ত করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরসভার আধিকারিকরা অভিযানে নেমে কোথাও ফেলে দিলেন অযোগ্য বরফ, আবার কোথাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বরফ মিশিয়ে দেওয়া গোটা লস্যিটাই ফেলে দিতে হল।
বুধবার নিউমার্কেট চত্বরে, কলকাতা পুরসভা চত্বরে কলকাতার পুরসভার আধিকারিকরা এই সমস্ত ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইস’ অনেকটা পরিমাণে বাজেয়াপ্ত করেছেন। এক বিক্রেতা পুরসভার আধিকারিকের মুখে তর্ক করায়, তাকে ক্ষমা চাইতে হয়। অনেক বিক্রেতা জানিয়েছেন, তারা পানীয় ঠাণ্ডা রাখার জন্য এই ধরণের বরফ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তাদের কথা মত সেইসব দোকানে তল্লাশি চালিয়ে একটুও খাবার যোগ্য বরফ মেলেনি। স্বাস্থ্যের পক্ষে এই ধরণের বরফ অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর আগেও পানীয়ে মর্গের বরফ ব্যবহার নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। আবারও সেই একই জিনিস হচ্ছে। 

আগামী কয়েকদিন কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে এই ধরণের অভিজান চলবে। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরা সব জায়গায় চেক করছি। যেখানে যেখানে অসংঙ্গতি চোখে পড়ছে, সেখানে নোটিশ দিচ্ছি।” কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ বিভাকর ভট্টাচার্য বলেন, “জিনিসগুলি ঠাণ্ডা করার উপকরণ হিসাবে যে বরফটা রয়েছে, সেটা ভাঙা রয়েছে, কারণ, গুঁড়িয়ে রাখলে যে ক্রেতা গরমে এসে খাচ্ছে, তিনি তো অত বিবেচনা করবেন না। এজন্য আমরা বেরিয়ে এটা দেখার চেষ্টা করছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যেই কয়েকটা ফাইভ স্টার, সেভেন স্টার, এছাড়াও কয়েকটা চেন রেস্তোরাকে ইমপ্রুভমেন্ট নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ফুড সেফটি অফিসারদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, পথে যারা খাবার বিক্রি করেছে স্ট্রিট ভেন্ডর- এই সব জায়গায় কঠোর নজরদারি চালাতে হবে।”

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aditi Sarker

Related News