#Pravati Sangbad Digital Desk:
রোগ থাক বা না থাক, সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি কী খাচ্ছেন তার ওপর। ডায়াবিটিসের মতো অসুখে এই নির্ভরতা অনেকটাই বেশি। সুগার রোগীরা কার্বহাইড্রেট যত কম খাবেন যায় তত ভালো বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ভাতের মতো উচ্চমাত্রার কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার বাদ দেওয়া কঠিন। ভাত না খেলে যেখানে আমাদের পেট ভরে না বলে অনেক মানুষই মনে করেন, সেখানে সুগার রোগী কতটুকু ভাত খেতে পারে বা বিকল্প কী খেতে পারে? ডায়াবিটিস আসলে দুই ধরণের। টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু। কিন্তু আমরা সচরাচর যাকে ডায়াবেটিস বলি, তা আসলে টাইপ টু। কারণ এ ধরনেই বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগী আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সাদা চালে উচ্চ মাত্রায় ডায়াবিটিসের ঝুঁকি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি করে। একই সময়ে, অন্য একটি সমীক্ষায় সিদ্ধান্তে পৌঁছে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাদা চালের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খান তাহলে টাইপ -২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস হবে সহজেই। তবে, আপনি যদি ভাত রাখতে চান তবে ডায়াবিটিসে বান্ধব ভাত বেছে নিতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীরা সব ধরনের ভাত খেতে পারলেও সাদা ভাতের চেয়ে ব্রাউন রাইস বেশি উপকারী। প্রকৃতপক্ষে, ব্রাউন রইসে গ্লাইসেমিক সূচকের মাত্রা ৬৮, সাদা চালে এর পরিমাণ ৭৩। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের শুধুমাত্র সেই জিনিসগুলি খাওয়া উচিত যেখানে গ্লাইসেমিক সূচকের মাত্রা ৫৫-এর কম। এটি রক্তে শর্করার উপর খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। যেখানে ৭০-এর বেশি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত জিনিস খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভাতের সঙ্গে গাজর, কড়াইশুঁটি, পেঁয়াজ মিশিয়ে সবজি খাওয়া ভাল। এতে ভাতে পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা সাদা ভাত খেতে চাইলে রাতে তা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে একটি উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার ওপর কোন খাবারের প্রভাব বেশি, সে বিষয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরি।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sampriti Gole