মহাঔষধি ধনে পাতা! জেনেনিন স্বাস্থ্য উপকারিতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

খাবারের স্বাদ বাড়ানোর অনেক নামের একটি ধনে পাতা। রান্নার স্বাদ বাড়াতে ধনে পাতার জুড়ি নেই। রান্না ছাড়াও সুগন্ধি এই পাতার অনেক ওষুধি গুণও রয়েছে।

ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। খাবারে অরুচি দূর করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। এছাড়া ধনে পাতায় থাকা কোয়ারসেটিন উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। ধনে পাতার রস বিপাকে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ডিটক্সিকেটিং পানীয় হিসেবেও কাজ করে।

অধিকাংশ মানুষ ধনে পাতার উপকারিতা না জেনেই নিয়মিত বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করে আসছে। এতে রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল তন্মধ্যে লিনোলেয়িক এসিড, লিনোলেনিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, পামিটিক এসিড ইত্যাদি অন্যতম। এতে রয়েছে ফাইবার। 

ভিটামিন সমূহের মধ্যে এতে রয়েছে, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ইত্যাদি। মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং জিংক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমানে পলিফেনল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটিতে কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য। তাই এ পাতাকে সাধারণ কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই।

আসুন জেনে নিই ধনে পাতার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১. ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা

বৃদ্ধি পায়। কারন এতে কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য।

২. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যে ধনে পাতা বিশেষ উপকারি। এটি ইনসুলিনের

ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।

৩. ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী, চোখের

জন্যেও ভাল।


৪. ঋতুস্রাবের সময় রক্তসঞ্চানল ভাল হওয়ার জন্যে ধনে পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা সারাতেও বেশ উপকারী।

৫. ধনে পাতার থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন –অ্যাসকরবিক এসিড, বিটা

ক্যারেটিন, ম্যাংগানিজ পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

৬. এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং

জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে।

৭. স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিষ্কের নার্ভ (স্নায়ু) সচল রাখতে সাহায্য করে ধনে

পাতা।

৮. ধনে পাতার ভিটামিন ‘কে’ অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

৯. ধনেপাতায় এসেনশিয়াল অয়েল লিনোলেয়িক এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আথ্র্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।এরা ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।

১০. ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা বিষাক্ততা রোধকারী, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এরা বিভিন্ন স্কিন ডিজঅর্ডার বা ত্বকের অসুস্থতা (একজিমা, ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন) সারাতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে তাই ধনে পাতার উপকারিতা অনেক।

১১. অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকায় এরা অ্যালার্জি বা এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দূরে রাখে।

১২. খাবারের মাধ্যমে সৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ সালমোনেলা। ধনে পাতায় উপস্থিত ডডেসিনাল উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে সালমোনেলা জাতীয় রোগ সারিয়ে তুলতে অ্যান্টিবায়টিকের থেকে দ্বিগুণ কার্যকর।

১৩. এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।

ত্বকের সমস্যার জন্যও ধনে পাতা উপকারী। ত্বকে জেল্লা বাড়াতে, ব্রের সমস্যা এড়াতে , ফর্সাভাব আনতে ধনেপাতা খাওয়া বেশ ভাল। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্য। ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সাভাব আনতে রোজ খান এই পাতার রস। ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করার জন্যও ভাল।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News