#Pravati Sangbad digital Desk:
কিছুদিন আগেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে কিলবিল করছিল পোকা। এবারও সেই ঘটনার অন্যথা ঘটল না। ফের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে দৃশ্যমান হল আরশোলা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিডডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পাওয়ার অভিযোগকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সুমন রায়ের ছেলে ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। সুমনের অভিযোগ,তার ছেলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে মিড ডে মিলের খিচুড়ি নিয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে কৌটা খুলতেই দেখা যায় খিচুড়ির মধ্যে আস্ত একটি সেদ্ধ আরশোলা। শিশুদের পুষ্টির জন্য দেওয়া হয় মিড-ডে মিল। সেই মিড-ডে মিলের খিচুড়িতেই পোকা আরশোলা। রান্নার চালে কিলবিল করছে পোকা। পড়ে আছে আরশোলা ও টিকটিকির বিষ্ঠাও। এই ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী জানান, “ঘটনার কথা এক অভিভাবক জানালে আমরা ভুল শিকার করে নিয়েছি,হয়তো এই ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে আমরা তড়িঘড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে এসেছি।” মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সেখানেই জানতে পারেন, মিড ডে মিলের ৫ জন কর্মীর বেতন ৭ জনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় ! প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা।
এর আগেও চালের ড্রামে মরা ইঁদুর পাওয়া গিয়েছিল৷ ডালের ড্রামে মরা টিকটিকি। এই নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড হয়েছিল মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহুরগাছি বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারি স্কুলে৷ এমনকী মিড ডে মিলের খাবারের মান নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছিল। যদিও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সমস্ত ঘটনা৷ ঘটনায় আফসার আলি নামে এক অভিভাবক বলেন, "আমি স্কুলে গিয়ে ড্রামের মধ্যে মরা ইঁদুর আর মরা টিকটিকি দেখতে পেয়েছি ৷ বছরখানেক ধরেই স্কুলের পরিস্থিতি বেহাল ৷ কোনওদিন বাচ্চাদের ডিম দেওয়া হয় না ৷ ৪৫ টি বাচ্চার রান্না হয় মাত্র ১০০ গ্রাম তেলে ৷ ২০০ গ্রাম ডালে অতগুলো বাচ্চাকে খাওয়ানো হয় ৷ শিক্ষককে কিছু বলতে গেলে তিনি উত্তর দেন, সব কিছুই নাকি নিয়মমাফিক করা হচ্ছে ৷ আমরা চাই, এই স্কুলটার উন্নতি হোক ৷ শুধু মিড ডে মিল নয়, স্কুলের পরিকাঠামোরও উন্নতি করা হোক ৷"