ভারতীয় সেনায় পাকিস্তানি গুপ্তচর নিয়োগের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে, তদন্তে এখন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। মামলার আবেদনকারী, বিষ্ণু চৌধুরির অভিযোগ অনুযায়ী, সিবিআই তদন্তকারী দলের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ইমরান, মূল অভিযুক্ত মহেশ চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে এই মামলাটি দুর্বলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।
পার্ক সার্কাসে ভয়াবহ আগুন: ট্রেন চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক
বিষ্ণু চৌধুরির অভিযোগ অনুযায়ী, মহেশ চৌধুরীই ভুয়া ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরি করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগ করতেন। এমন একটি বড়সড় চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যা নাগরিকত্ব সহ অন্যান্য নথি জাল করে পাকিস্তানি নাগরিকদের সেনায় নিয়োগের জন্য দায়ী। ২০২৩ সালে এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে। বিষ্ণু চৌধুরির দাবি, এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণে তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। এমনকি, তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়টি শুনানির পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআইকে মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, হুগলির মগরা থানাকে মামলাকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এবং সিবিআই আধিকারিক প্রদীপ ত্রিপাঠীকে সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতথা সিবিআই তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করার জন্য আদালত আরও মনিটরিং করবে।