আজ থেকে ২২ বছর আগে অর্থাৎ ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারায় সান্তিয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। অভিযোগ উঠেছিল যে সান্তিয়াগো মার্টিন ও তাঁর সংস্থা টিকিট বিক্রি করে লটারির প্রকৃত নম্বর গোপন রেখে অন্য সিরিয়াল নম্বর দিয়ে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে কোটি কোটি টাকা কারচুপি হয়। আর তারই তদন্তে উঠে এল বিস্ফারিত তথ্য।
শোনা যায়,” লটারি কিং” নামে পরিচিত সান্তিয়াগো মার্টিন। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মেঘালয় এবং পঞ্জাবের মোট ২২টি জায়গায় সম্প্রতি হানা দিয়েছিল ইডি। আর এখনও পর্যন্ত ১২.৪৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ৬.৪২ কোটি টাকা মূল্যের ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এই ৬ টি রাজ্যের মোট ২২ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েও কোন রাজ্য থেকে ঠিক কত পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে সেই বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর লেক মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। জানা গিয়েছিল, সেখানে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে । টাকা গোনার জন্যে মেশিনও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে। সেই অভিযানেই নাকি অন্তত পক্ষে ৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়াও এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের কাছে একটি লটারির অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। আর এবার জানানো হল, দেশ জুড়ে এই অভিযানে মোট ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০১৯ সাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলিকে সবথেকে বেশি অনুদান দিয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এবং সেই অনুদান ছিল প্রায় ১৩৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৫৪০ কোটি এবং ডিএমকে পেয়েছিল ৫০৯ কোটি টাকা।