ট্যাব দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মফিতজুল ইসলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক বাড়িতে একটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট (CSP) চালানোর নাম করে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিলেন। তারই পাশাপাশি, পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকাও আত্মসাৎ করেছিলেন তিনি।
আলাস্কায় ভেঙে পড়ল মার্কিন যুদ্ধবিমান F-35
মহম্মদ মফিতজুল ইসলাম, যিনি মাঝিয়ালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি গ্রাহক প্রতারণার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন মানুষের ব্যাঙ্কিং তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং তাদের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন। এছাড়াও, জানা গেছে যে, এই দুর্নীতির ঘটনাটি তদন্তের মধ্যে আসতেই, অভিযুক্ত শিক্ষক হঠাৎ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অন্য একজন শিক্ষককে বুঝিয়ে দিয়ে ছুটিতে চলে যান। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি অসুস্থ এবং দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। তবে পুলিশ তার ছুটির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করলে, মফিতজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত মফিতজুল ইসলামের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, তিনি শিক্ষার্থীদের ট্যাব কেনার জন্য একাধিক টাকা আদায় করেছিলেন, কিন্তু ওই টাকার বিনিময়ে তারা কোনো ট্যাব পায়নি। পাশাপাশি, তিনি তার বাসায় CSP চালানোর নামে একটি সুক্ষ্ম প্রতারণা জাল গড়ে তুলেছিলেন, যা নিয়ে বর্তমানে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শিক্ষকের এই প্রতারণার খোঁজ পাওয়ার পর, গ্রামাঞ্চলে এর প্রতিক্রিয়া তীব্র। পুলিশ ইতিমধ্যেই মফিতজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় সবার নজর এখন পুলিশের তদন্তের দিকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের এই ঘটনায় আরও কিসের তথ্য উঠে আসবে, তা নিয়ে স্থানীয়রা মুখিয়ে রয়েছেন। এছাড়া, পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মহম্মদ মফিতজুল ইসলামের উপর আরও তদন্ত চলছে এবং তার অপরাধের পরিসর আরও বিস্তৃত হতে পারে।