হাজার হাজার কোটি টাকার লটারি কেলেঙ্কারি
৬ টাকায় ১ কোটি টাকা
সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে…
ফের কলকাতায় টাকার পাহাড়। চেন্নাইয়ের মামলার সূত্র ধরে কলকাতায় ইডির ম্যারাথন অভিযান। কালো টাকা সাদা করতে লটারিকে ব্যবহার করার আশঙ্কায় এদিন একযোগে কলকাতা-চেন্নাইয়ের ২০ জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। এখনও অবধি প্রায় ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে মাইকেলনগর এলাকায় লটারির ছাপাখানা ও গুদাম আছে। সেখানেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। আর লেক মার্কেটের এক আবাসনেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। আজ, শুক্রবার ওই আবাসনে তল্লাশি চালানোর সময় কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আসল জয়ীদের বঞ্চিত করে পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ আছে। তারপরই তল্লাশি অভিযান বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রতারণার জাল আর কতদূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত? সবটা তদন্ত করছে ইডি।
বস্তুত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে ফিউচার গেমিং নামে একটি গোষ্ঠীকে নির্বাচনী বন্ডে সব থেকে বেশি চাঁদা দেওয়ার তথ্য উঠে আসে।
আদতে কেরলের কোচি শহরের বাসিন্দা সান্তিয়াগো মার্টিন নামে এক পেপার লটারি ব্যবসায়ীর সংস্থা ওই ফিউচার গেমিং। এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মার্টিন ও তার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ২০ টি ঠিকানায় গতকাল ও আজ তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নামে ইডি।
শুধু এক কোটি টাকা নয়, এর আগেও তিনবার লটারি জিতেছেন! কীভাবে জালিয়াতি?
ধৃত লটারি কিং-কে জেরা করে কলকাতার লেক মার্কেটে লটারির অফিসে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানকার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ রোডের একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার মেশিনও। এখনও অবধি কালো টাকার মোট অঙ্ক ৮ কোটি ৮০ লক্ষ।
লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লটারি জেতার যে টাকা তা থেকে কর বাবদ অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা না দিয়ে হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতায় হানা দেয় ইডি। তারপর দু’দিন ধরে চলছে ম্যারাথন তল্লাশি। শুধু তাই নয়, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। আর এই প্রতারণার সঙ্গে প্রভাবশালী যোগের তত্ত্ব উঠে এসেছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরেও লটারির বেআইনি টাকার তদন্তে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে একটি লটারি সংস্থার ছাপাখানায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় আয়কর দফতরের তরফে। অভিযোগ উঠেছিল, প্রকৃত যারা পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁদের বঞ্চিত করে ওই সংস্থা পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। তখনও প্রভাবশালী যোগের তত্ত্ব সামনে আসে।
গরিব মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকার লটারি কেলেঙ্কারি
৬ টাকায় ১ কোটি টাকা
সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে…