#Pravati Sangbad Digital Desk:
এরাজ্যে মিড ডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক মাসে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। কোথায় গাফিলতি? তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে দিল্লির ওই টিম। দলে রয়েছেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি, অধ্যাপক। আর এই প্রতিনিধি দল রাজ্যে থাকাকালীনই ঘটে গেল বিপত্তি। মিড-ডে মিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে মাঝে মাঝেই মিড-ডে মিলে মৃত সাপ, ব্যাঙ, টিকিটিকি উদ্ধার হয়। আর তা খেয়ে পড়ুয়ারের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর মধ্যেই বাংলায় মিড-ডে মিল তৈরির প্রক্রিয়া ও পরিচ্ছন্নতা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের থেকে তদন্তকারী দল এসেছে রাজ্যে।যখন মিড-ডে মিল নিয়ে বাংলায় বিভীষিকার শেষ নেই সেই সময় অন্যান্য় রাজ্য থেকেও মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার খবরও শোনা যাচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পালনাড়ুর একটি স্কুলে মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ ১০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের সত্তেনাপল্লি মন্ডলের রামাকৃষ্ণাপুরম গুরুকুলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে গতকাল রামাকৃষ্ণাপুরম গুরুকুলা স্কুলের পড়ুয়ারা সকালে মাংস খেয়েছিল। এবং বিকেলে খেয়েছিল বেগুন। খাবার খাওয়ার পর প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া পেটে ব্যথার কথা জানায়। অনেকের বমি বমি ভাবও ছিল। সবার মধ্যে হিস্টেরিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। আরও ৫০ জন পড়ুয়া জানায়, তাদেরও পেটে ব্যথা করছে, বমি পাচ্ছে। তারপর সঙ্গে সঙ্গে ১০০ জনের বেশি পড়ুয়াকা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, বদ হজমের কারণে ঘটেছে এমন ঘটনা। যদিও বিস্তারিত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে অন্ধপ্রদেশের পাল্লারুর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেট শিবশঙ্কর লোঠেতি জানান,’নজর রাখা হচ্ছে গোটা পরিস্থিতির ওপর। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের অবস্থার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে’। সম্প্রতি এই রাজ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার নজির দেখা গিয়েছে। খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেই জানা গিয়েছিল।