Flash News
Monday, September 22, 2025

মিড ডে মিলে রান্নার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ

banner

journalist Name : Aparna Dutta

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ঢেকা অঞ্চলের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না হওয়া ডালে বিষধর সাপ পাওয়া গিয়েছিল। বেশ কিছু পড়ুয়া খাওয়ার পর পরিবেশন করার জন্য ডালের বালতিতে সাপ নজরে আসতেই হইচই পরে যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। নানান জায়গায় মিড ডে মিল নিয়ে পড়ুয়ারা সংকটজনক পরিস্থিতির স্বীকার হয়। কিছুদিন আগে রাজারহাটেও এমনটাই শোনা গিয়েছিল । এরপর মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শনে হাজির হন অভিভাবকেরা। কখনও খিচুড়িতে সাপ, কখনও টিকটিকি, কখনও আরশোলা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার পড়ুয়াদের খাবারের জলেও বিষের অভিযোগ। অভিভাবকরা অভিযোগ তুলছেন, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত জল পান করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এছাড়াও এই জল দিয়েই মিড ডে মিলের রান্না চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই জল খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে বহু স্কুল পড়ুয়া। ঘটনাটি মালদার চাঁদমুনি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারিয়া প্রাথমিক স্কুলে। এই নোংরা পানীয় জলের অভিযোগ তুলেই এদিন স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক-অভিভাবিকারা। সেখানকার খাবারের গুণমান বুঝতে নিজেরা রীতিমতো রান্না চেখে দেখেন পরিদর্শকরা। প্রতিনিধি দলটি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মিড ডে মিলের চাল, ডাল থেকে শুরু করে অন্যান্য সামগ্রীর গুণগতমান ও রান্না করা খাবার পরখ করে দেখেন। পড়ুয়াদের ওজন, উচ্চতা, রক্তাল্পতা ও আঙুলের নখ পরীক্ষা করার পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। রান্নায় কী তেল-মশলা ব্যবহার করা হচ্ছে, কোন জলে রান্না করা হচ্ছে-এমন সব প্রশ্ন করেছেন।

স্কুলের এক রাঁধুনি আজিমা খাতুন বলেন, "আজ কারা এসেছিলেন আমি জানিনা। স্কুল থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছিল বাইরে থেকে লোক আসবে তাই অ্যাপ্রন, টুপি, গ্লাভস পড়তে হবে। আজ এগুলি প্রথমবার পড়লাম।" দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রাজবল্লভপুর রঙ্গিলাবাঁধ রামলার মেমোরিয়াল হাইস্কুলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা দেখল মিড ডে মিলের চাল যেখানে রাখা হয় সেখানে ঝুল রয়েছে। এর আগে, উস্তির শেরপুর রামচন্ত্রপুর হাইসকুলে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এখানেও, হাতে উলের গ্লাভস পরে, রান্না করতে দেখা যায় মিড ডে মিলের কর্মীদের। যদিও তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সারা বছর একরম ভাবেই কাজ করে। এই গ্লাভসই দেওয়া হয় তাঁদের। মিড ডে মিলের নোডাল টিচারের কথায়, ব্লক থেকে আমাদের এগুলোই দেওয়া হয়েছে, তাই আমরা এগুলোই দিই।           
 সরকারি নির্দেশে স্কুলগুলিতে ১৬ সপ্তাহের অতিরিক্ত পুষ্টি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগামী এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। বিশেষভাবে খাওয়ানোর জন্য প্রতিদিন ছাত্র প্রতি অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মিড ডে মিল প্রকল্পের নতুন নাম করণ হয়েছে পিএম পোষণ। ওই নির্দেশিকায় ছাত্রদের ফল, পনির, ডিম, মাংস সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News