Flash News
Monday, September 22, 2025

ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ বীরভূমের সিউড়িতে

banner

journalist Name : Aparna Dutta

#Pravati Sangbad digital Desk:

বীরভূমের সিউড়িতে যে ১৭৭ টি একাউন্টের হদিশ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা তারা দুজন হলেন মমতা মির্ধা ও সুন্দরী বাসকি। এদিকে তারা দুজন দাবী করেছেন সরকারি প্রকল্পের জন্য তারা ব্যক্তিগত নথিপত্র ও ফটো জমা দিয়েছিলেন সেখান থেকেই কোন উপায় সেই নথিপত্র জোগাড় করে পুরো একাউন্ট খোলা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ শুনতে নারাজ স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। ভুয়ো অ্যাকাউন্টের কার্য কলাপ দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। ভুয়ো অ্যাকাউন্টে নাম থাকা দু'জন হলে মমতা মির্ধা ও সুন্দরী বাসকির দাবি, সরকারি প্রকল্পের জন্য তাঁরা ব্যক্তিগত নথিপত্র ও ফটো জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই কোনও উপায়ে নথি জোগাড় করে ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, একজন ব্যক্তি একবারে ৩০ থেকে ৪০টি করে অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম নিয়ে যেতেন। সেই ফর্ম ভরার পরে একসঙ্গেই ফর্ম গুলি জমা করা হত ব্যাঙ্কে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কের স্বচ্ছতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এই প্রসঙ্গে সুন্দরী বাসকি জানান, "আমরা কারোর কাছে কোনো নথি জমা করিনি। লক্ষীর ভান্ডার এর জন্য কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছিলাম, তাহলে সেখান থেকেই কোনোভাবে সরানো হয়েছে। ব্যাংকে একাউন্ট থাকার কথা আমি জানি না। এই কাজটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি।" অন্যদিকে মমতা মির্ধা জানান, আমার শুধুমাত্র একটি ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের কথা আমি জানি না। কিভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হল তাও জানিনা।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে কম করে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে সঠিক অঙ্কটা এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। ওই কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সহ পরিচালন পর্ষদের কর্তাদের কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ‌ও করে সিবিআই। এরপর‌ই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নথি ব্যবহার করে ওই সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলার মত গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে।

ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক মানছেন, ব্যাঙ্কের ‘স্বাস্থ্য’ পুনরুদ্ধারে শিবির করে গ্রাহক টানতে হয়েছে। তখন বেনামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘তথ্য ভুল দিয়ে থাকলে শিবিরে সবটা যাচাই সম্ভব নয়। তবে সিবিআই যে অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখে নথি সংগ্রহ করেছে, সেগুলিতে ধান সংগ্রহ সংক্রান্ত বেশ কিছু লেনদেন হয়েছে। সবই ডিজিটাল বা নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে।’’

রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘এগুলি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণাধীন। সুতরাং যা ব্যবস্থা নেওয়ার, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নেবে।’’

কিভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে এমন সব অ্যাকাউন্ট ছিল দিনের পর দিন তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট প্রশ্ন। এইসব আকাউন্টের তথ্য তল্লাশি করতে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় ওই ব্যাংকের ম্যানেজারকে। আর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এই নোটিশ পেয়েই শুক্রবার সকালে ব্যাংক ম্যানেজার অভিজিৎ সামন্ত নথি নিয়ে পৌঁছে যান সিবিআই দপ্তরে।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

দুর্নীতি রাজ্য
Related News