Flash News
    No Flash News Today..!!
Monday, November 10, 2025

এসএসসি অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরই উদ্ধার নন্দীগ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ

banner

journalist Name : Susmita Das

#Pravati sangbad Digital Desk:

সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।  প্রসঙ্গত ,আদালতের  এই নির্দেশে যে ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে রয়েছেন ৫৭ জন ইংরাজির শিক্ষক, ৩০ জন ভূগোলের শিক্ষক, ২২ জন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক, ২১ জন বাংলার শিক্ষক, ১৮ জন অঙ্কের শিক্ষক, ১৮ জন ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক এবং ১৭ জন ইতিহাসের শিক্ষক।সেই তালিকায় নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের টুম্পা রানী মন্ডলের।  এরপরই গত রবিবার  তার  ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হল  তার  ঝুলন্ত দেহ।

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিগত প্রায় এক বছর ধরে তোলপাড় রাজ্য - রাজনীতি । আদালতের একের পর এক নির্দেশে সিবিআই, ইডি তদন্তে নেমেছে বহু ক্ষেত্রে।  সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Teacher Recruitment Scam) মামলায় ১৮৩ জন শিক্ষক অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত  করা হয়েছে । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই সেই তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করে স্কুল সার্ভিস কমিশন ।  সেই তালিকার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই তালিকাতেই নাম ছিল  পূর্ব মেদিনীপুরের  টুম্পারানি মণ্ডলের।এরপর এই রবিবার তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত দেহ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে অযোগ্য প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার কারণেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন টুম্পা দেবী,?


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত টুম্পারানি মণ্ডল নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন।রবিবার সন্ধেয় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে টুম্পারানি চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের  দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের হাইস্কুলে তিনি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন।চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে ,ওই শিক্ষিকার বাপের বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতি চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । বিকেলে সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর স্ত্রী টুম্পারানি বাড়িতে একাই ছিলেন। বেশ  কিছুক্ষণ  পরে সুবীর বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে ঘরের মধ্যে তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর যায় থানায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। 

মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, নবম দশমের স্কুল শিক্ষকদের তথ্য যাচাই সংক্রান্ত একটি তালিকা কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই তালিকায় টুম্পারানির নাম ছিল। তার জেরে তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার স্কুলেও যাননি বলে জানা  গিয়েছে । তারপর রবিবার  এই ঘটনা ঘটে ।

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

দুর্নীতি শিক্ষা
Related News