# Pravati Sangbad Degital Desk:
গোরু পাচারের প্রসঙ্গ উঠলেই সবার আগে উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এর আগে বহুবার গোরু, কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মন্ডল ও অভিষেক বন্ধোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বাদ পড়েননি অভিষেক পত্নী রুজিরাও। তবে বহুবার সেই জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছিলেন তাঁরা। গোরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমে এবার আবার নতুন করে এক চক্রের উদঘাটন হয়। নকল সোনার কয়েন চক্র এবার বীরভূমে। গত ৫ই নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ফোন করে ডেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতে শেখ জালাল উদ্দিন। প্রতারণা করার আগেই বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার পুলিশের কাছে ধরা পড়ে প্রতারক জালাল উদ্দিন। তাকে গ্রেফতার করে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩১০ টি নকল সোনার কয়েন ও সঙ্গে নগদ কিছু টাকা। বীরভূমের সাঁইথিয়া সহ বহু এলাকায় নকল সোনার কয়েন দেখিয়ে প্রতারণা করার চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সাজিয়েছিল শেখ জালাল উদ্দিন। এর আগেও বহুবার বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে নকল সোনার কয়েন । গ্রেফতার হয় বেশ কিছু প্রতারকও । এবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সফল সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ ।পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে গিয়ে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে বহু জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রতারক শেখ জালাল উদ্দিনের কথা মতো বাতাসপুর রেলস্টেশন পল্লী থেকে উদ্বার হয় ৩১০ টি নকল সোনার কয়েন ও নগদ কিছু টাকা। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি মন্তব্য করেন, " পুলিশের আগে থেকেই নজরে ছিল প্রতারকদের গতি বিধি । খবর ছিল সাঁইথিয়ায় পাতা হয়েছে প্রতারণার নতুন ফাঁদ । সেই মতো প্রতারকদের ধরার সুযোগে ছিল পুলিশ । প্রতারকদের ফোন আসতেই পুলিশ পৌঁছে যায় প্রতারকদের কাছে । গ্রেফতার করে শেখ জালাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩১০ টি নকল সোনার কয়েন ও সঙ্গে নগদ কিছু টাকা"। সাঁইথিয়া থানার ওসি প্রসেনজিত দত্ত বক্তব্য রাখেন, ''এর আগেই আমরা এই ধরনের চক্রের হদিস পেয়ে তাদের গ্রেফতার করেছি। এই ধরনের চক্রের হদিস বন্ধ করতে এলাকায় ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছে"। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছে পুলিশরাও। স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image