টেট পাশ করেও চাকরি থেকে বঞ্চিত ২৩ জন। ২০১৬ সালে টেট পাশ করেছিলেন তারা সকলেই। কিন্তু চাকরি পাননি কেউই। প্রসঙ্গত, ফল প্রকাশের পরে পর্ষদ জানিয়েছিল প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে তাঁদের উত্তর সঠিক হিসাবে বিবেচিত হবে। তাই তারা পাশ করেছেন। তবে সেই মুহূর্তে শূন্য পদ না থাকার কারণে তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে তারা মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের রায় তাঁদের পক্ষেই যায়। কিন্তু মামলা জেতার ১০ মাস পেড়িয়ে গেলেও চাকরির নিয়োগ পত্র পাননি কেউই। তাই এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৩ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে ২৩ জনকেই। কারণ ভুল যখন পর্ষদের তাই পর্ষদকেই ভুল শুধরে নিতে হবে। কোণ পদে নিয়োগ করবে সেটা পর্ষদের সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আদালত আরও নির্দেশ দেয়, নিয়োগের পরে আদালতকে জানাতে হবে সেই তথ্য। উল্লেখ্য, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মেনে নিয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কথা। সেই সাথে সিলেবাসে নৈতিকতা পাঠক্রম যুক্ত করারও কথা বলেন তিনি। আর ঠিক সেই দিনেই কলকাতা হাইকোর্ট আবারও ২৩ জন চাকরি প্রার্থীর পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যদিকে ২৩ জনের মধ্যে সকলেই শিক্ষন পদ্ধতির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, কিন্তু যারা নিযুক্ত হয়েছেন তারা কেউই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে তাঁদের সকলের চাকরি হওয়ার কথা ২০১৬ সালেই।। পর্ষদের ফল প্রকাশের পরে আইনি লড়াইয়ের পথ বেঁছে নিয়ে ছিলেন ২৩ জনেই। অবশেষে আইনের চোখে জয়ী ২৩ জন চাকরি প্রার্থী।