#Pravati Sangbad Digital Desk:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দশম শ্রেণি থেকে থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত এই ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, ডাক্তারি, গবেষণা সবেতেই এই ঋণের জন্য আবেদন জানানো যেতে পারে। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন তিনি। রাজ্যে চালু হচ্ছে পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড। ৩০শে জুন ২০২১ থেকে পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড দেওয়া চালু করছে রাজ্য। এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে অনলাইনেই। উচ্চশিক্ষায় আর বাধা নয়। প্রতিটি স্টুডেন্ট তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পারবে পড়াশোনা করতে। সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।এই কার্ডের জন্য গ্যারেন্টি লাগবে না। তিনি জানান, এগিয়ে বাংলা, উচ্চ শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আবেদন করা যাবে, ১৮০০১০২৮০১৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে। ব্যাঙ্কদের কাছে তিনি বলেই দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের যেন বেশি বেশি করে ঋণ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীর যে যে সুবিধা পাবে তা হল :
১. রাজ্যের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য পাবেন সহজশর্তে ঋণ।
২. রাজ্য সরকার ওই ঋণের গ্যারান্টার হবে। পরিবারের বাবা-মা অথবা কেবলমাত্র আইনি অভিভাবক ব্যাঙ্কের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হবে না।
১ বছর পর ১৫ বছরের মধ্যে ওই ঋণ ফেরত দিতে হবে। তবে পাঠ্যক্রম শেষ হওয়া অথবা ছাত্র ছাত্রীদের চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ১ বছর ঋণ পরিশোধ স্থগিদ রাখা যাবে।
৩. নাম মাত্র ৪ শতাংশ সুদের হারে এই ঋণ পাওয়া যাবে।
৪. সঠিক সময়ে এই ঋণ শোধ করলে সুদের উপর আরো ১ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ যদি আপনি ৪ শতাংশ হিসাবে সুদ নিয়ে থাকেন তাহলে ৩ শতাংশ হিসাবেই শোধ করতে হবে আপনাকে।
এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের জন্য যা যা দরকার টা তা হল:
১. ঠিকানার প্রমাণপত্র।
২. পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৩. আবেদনকারী ছাত্রের রঙিন ছবি।
৪. উচ্চশিক্ষার রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি অথবা নির্বাচিত হওয়ার নথি।
৫. ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁদের মা-বাবার পরিচয়পত্র (আধার কার্ড / প্যান কার্ড / ভোটার কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্টের রঙিন ছবি)।
৬. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর।
৭. ভর্তির রসিদ।
৮. কোর্স ফি এর রসিদ বা ট্রি টিউশন ফি এর রসিদ।
৯. শেষ ছয় মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।
এই উদ্যোগটি পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার কমাতেও সাহায্য করবে, কারণ এর ফলে আরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা এবং চাকরি উভয়ই পেতে সক্ষম হবে।