পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের সাহায্য করার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ২০২১ সালে চালু করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রি, পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা আসল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না এসে চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। ঘটনা সামনে আসার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে উপভোক্তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। পুরনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। সেই সুত্রে সরকার একটি নির্দেশ জারি করেছেন – দ্রুত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করে নিতে হবে। এবার থেকে দেখা হবে যে অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা যাচ্ছে তাতে আধার লিঙ্ক করা আছে কিনা। এরই সঙ্গে জমা দিতে হবে আপনার স্বাস্থ্য সাথী ও আধার কার্ডের জেরক্স এবং সঙ্গে দিতে হবে ব্যাঙ্কের পাস বই-র জেরক্স।
উলেখ্য শোনা যায়, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, রাজস্থানের আলওয়ার এবং বিহারের গয়া গ্যাং-র মতো কোনও গ্যাং জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এখনও পর্যন্ত ২২০টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সরকারের তরফে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পাচার হচ্ছিল। এর মধ্যে ৮৪টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে ৬৪টিতেই গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার টাকা। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশই ঝাড়খণ্ড, বিহার, রাজস্থানের। তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও নদিয়া জেলাও।
ইতিমধ্যে, তরুণের স্বপ্ন’র আওতায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় পুজোর আগে। রাজ্যের ১৮ লক্ষ পড়ুয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ আসে। তদন্তে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে সে টাকা গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। তারপরেই শিক্ষা দরফতরের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। যে সব পড়ুয়ারা টাকা হাতে পায়নি, তাদের সেই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার থেকেই টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদি কোনও পড়ুয়া ট্যাবের টাকা না পেয়ে থাকে, তা দ্রুত জানানোর কথা বলা হয়েছে।