কলকাতার কাছে ৫টি নিরিবিলি-নির্জন সমুদ্র সৈকতের হদিশ, কোলাহলমুক্ত-অপরূপ সেই সব সমুদ্র সৈকতগুলি ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরের এক নতুন সমুদ্রতটে। এখানে দীঘা-মন্দারমনির মতো লোকজনের আনাগোনা নেই। বেশ নিরিবিলি। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই এই জায়গা।
বগুড়ান জলপাইঃ
নিরিবিলি এই সাগরপাড়ের অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ বেড়ানোর ষোলআনা মজা এনে দেবে। কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌঁছে যান। সেখান থেকে গাড়িতে চলে যান বগুড়ান জলপাইয়ে। অপূর্ব নির্জন এই সমুদ্র সৈকতে মিলবে হৃদয়ের স্বস্তি।
বাসে কন্টাই নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে বগুরান জলপাই আসতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। তবে দীঘার মতো বগুরান জলপাই-এ কিন্তু মাতাল করা ঢেউ নেই। বরং সমুদ্র এখানে বেশ শান্ত। চওড়া বিচে খেলা করে বেড়ায় লাল কাঁকড়ারা। জোয়ার ভাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখনও সমুদ্র কাছে চলে আসে তো কখনও আবার সরে যায় দূরে। তবে বিচের ধারে মাঁচার উপর বসে থাকতে মন্দ লাগে না। মাতাল করা নোনা হওয়া, সাদা ঢেউ, পিছনের ঝাউবন মিলিয়ে এই সৌন্দর্য সত্যিই অভাবনীয়।
বগুরান জলপাই থেকে খুব কাছে জুনপুট আর বাঁকিপুট। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দিরও দেখে নেওয়া যায়। ভালো লাগবে দরিয়াপুর লাইট হাউস।
যমুনাশোলঃ
কলকাতা থেকে ২৩৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নতুন আরও একটি সমুদ্র সৈকত যমুনাশোল। ট্রেনে গেলে আপনাকে পাস্তায় নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যান যমুনাশোলে। থাকার জন্য এখানে পেয়ে যাবেন নেচার স্টে ক্যাম্প।
লালগঞ্জঃ
কলকাতা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের এই পাড়। ট্রেনে নামখানা পৌঁছে যান। সেখান থেকে টোটো বা অটোতে করে সোজা চলে যান লালগঞ্জে। থাকার জন্য এখানে সমুদ্রপাড়ে কয়েকটি ক্যাম্প পেয়ে যাবেন।
ধুবলাগড়িঃ
কলকাতা থেকে এই সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ২৪৫ কিলোমিটারের মতো। ট্রেনে বালাসোরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে দিতে পারবেন ধুবলাগড়িতে। থাকার জন্য এখানে ক্যাম্প রয়েছে।
দাগাড়াঃ
বিশেষ এই প্রতিবেদনের সর্বশেষ সমুদ্র সৈকতটির নাম হল দাগাড়া। কলকাতা থেকে ট্রেনে চলে যান জলেশ্বর। সেখান থেকে অটো বা ছোট গাড়িতে দাগাড়া। থাকার জন্য এখানে দাগাড়া নেচার ক্যাম্প পেয়ে যাবেন।