#pravati sangbad digital desk:
যে কোন ভ্যাকসিন বা টীকার কথা শুনলেই সবার প্রথমে মাথাই আসে সূচের কথা, আট থেকে আশি অনেকেই ভয় পান টীকা নিতে তার অন্যতম কারণ সূচ। সাধারণত যে কোন টীকা দেওয়া হয় সিরিঞ্চের মধ্যে ভরে সরু সূচের মাধ্যমে, যা দেহের নরম মাংসল জায়গাই অনায়াসেই ফুরে যায়, অনেক সময় ব্যাথাও হয় ভালো। কিন্তু আর ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ভারতের হাতে এসে পৌঁছেছে বিশ্বের প্রথম সূচ বিহীন ভ্যাকসিন জাইকোভ ডি, যার নির্মাতা জাইডাস ক্যাডিলা। আমেদাবাদের জাইডাস ভ্যাকসিন টেকনোলজি এক্সেলেন্স সেন্টারে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশ্বের প্রথম সূচ বিহীন ভ্যাকসিন জাইকোভ ডি। ২০২১ সালে জাতীয় ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামে প্রায় ১০০ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার, ইতিমধ্যেই তা সরকারের হাতে এসে গিয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখ ভারত সরকারের হাতে বিশ্বের প্রথম সূচ বিহীন ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু সূচ বিহীনই নয় এই ভ্যাকসিন বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন। গতকাল থেকে বিহারের পাটনাই শুরু হয়েছে এই সূচ বিহীন ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
মূলত একটি জেট অ্যাপলিকেটরের মাধ্যমে মানব দেহে এই ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়। জাইকোভ ডি ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে জেনেটিক্যালি ভাবে, এই ভ্যাক্সিনে মূলত প্লাজমিড নামক এক ডিএনএ এর ব্যাবহার করা হয়েছে, যা কোভিড ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে মানব দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। তবে বাকি কোভিড ভ্যাকসিনের থেকে এই সূচ বিহীন ভ্যাকসিনের ব্যাবহার একটু অন্য ধরণের। অন্যান্য টীকা সাধারণত দুই বার কিংবা এক বার মানদ দেহ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে, কিন্তু জাইকোভ ডি ব্যাবহার করা হবে ৩ বার। প্রথম ডোজ নেওয়ার ঠিক ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ এবং তার ৫৬ দিন পরে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ট্যাক্স সমেত ভ্যাকসিনের এক একটি ডোজের দাম পড়বে ৩৫৮ টাকা। সুত্রের খবর এই ভ্যাকসিন খোলা বাজারেও মেলার ব্যাবস্থা চলছে, খুব শীঘ্রই তা মিলবে ওষুধের দোকানে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ১৮ ঊর্ধ্ব ব্যাক্তিদের বেশি ভ্যাকসিন হয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেক ১৮ বয়সি শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া, কিন্তু অন্যদিকে ১২ থেকে ১৫ বয়সি শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। কিন্তু এবার জাইকোভ ডি ভ্যাকসিনকেই ১২ বা তার বেশি বয়সি শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড় দিলো কেন্দ্র সরকার।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : sagarika chakraborty