শরীরের হাত-পা বেশি ঘামলে কি করবেন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

শরীরের তাপস্থাপক হিসেবে কাজ করে ঘাম উৎপাদক গ্রন্থিগুলি। কারোর ঘাম বেশি, কারোর কম। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের ক্রমাগত হাত ও পায়ের পাতা ঘামে। এমনই ঘাম হয়, যে সেলফি তুলতে গিয়ে বা অফিসে পাঞ্চ করে অ্যাটেনডেন্স দিতে গিয়ে মেশিনের সেন্সর আঙুলের ছাপ চিনতে পারে না। এতে সকলের সামনে হেনস্থা হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।

ঋতুকালীন সাধারণত গ্রীষ্মকালে, গরম তাপমাত্রায় হাত-পা ঘামা বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে শুধু শীতকালেই এর প্রকোপ দেখা যায়।

উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, আশঙ্কা, ধকল, ভয় : স্বতন্ত্র স্নায়ু সতর্ক হয়ে ঘর্মগ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে ঘাম নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।

সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে কিছু রোগ কাজ করে। থাইরয়েডের সমস্যা, হরমোনের সমস্যা— এসব কারণে হয়। এর প্রতিকার হিসেবে

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার 

হাত ও পায়ের তালু ঘামা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম কার্যকর ঘরোয়া সমাধান অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। 

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার হাত ও পা হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর তুলোর সঙ্গে অপরিশোধিত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে লাগিয়ে সারা রাত রাখুন এবং সকালে স্নানের পর সামান্য বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন।

জল

হাত-পায়ের তালু ঘামা কমিয়ে আনতে সারাদিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন। এতে করে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং ঘাম প্রতিরোধ হবে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার জল খান। সারাদিনে বিরতি দিয়ে বারবার এই জল দিয়ে হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।

গ্রিন টি 

গ্রিন টি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। এটি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমিয়ে আনে প্রাকৃতিকভাবে লোমকূপ বন্ধ করার মাধ্যমে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করুন। আবার গ্রিন টির মধ্যে কিছু বরফ রেখে, তাতে কিছুটা তুলো ভিজিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ম্যাসাজ করলেও অতিরিক্ত ঘামভাব কমে।


বেকিং সোডা 

হাত-পায়ের তালু ঘামা প্রতিরোধের অন্যতম সেরা ঘরোয়া উপাদান হচ্ছে বেকিং সোডা। গরম জলে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিন এবং এতে আধা ঘণ্টার মতো হাত ডুবিয়ে রাখুন। জলের নিচে জমে থাকা বেকিং সোডার সঙ্গে হাত ঘষুন এবং আধা ঘণ্টা হয়ে গেলে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে হাত মুছে ফেলুন। পায়ের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

লেবুর রস 

আরেকটি কার্যকর ঘরোয়া উপাদান হচ্ছে লেবুর রস। লেবুর রস ব্যবহার করার আরও একটি উপকারিতা হচ্ছে এর দারুণ সুগন্ধ প্রাকৃতিক ডিওডরেন্টের কাজ করে। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস হাত-পায়ের তালুতে লাগিয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক সেনসিটিভ হয়, সে ক্ষেত্রে লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও সব সময় হাত-পা পরিষ্কার রাখতে হবে।

- বাইরে থেকে এসে পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলতে হবে।

- প্রতিদিন ব্যবহার করা মোজা ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

- জুতা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

- জুতার মধ্যে মাঝেমধ্যে পাউডার দিতে পারেন।

- মাঝেমধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নেবেন।

- সুতি মোজা ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে পা কম ঘামে ও ঘাম শোষণ করে।

- যাঁদের পা বেশি মাত্রায় ঘামে, তাঁরা বেশি ঘাম শোষণ করতে পারে এমন জুতা কিনতে পারেন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News