"এখানে কোনো মানুষ লাভের আশায় সংগঠন করে না।" - তরুণ সাহা"

banner

#কাশিপুর:

সমস্ত রাজনৈতিক দলের চলছে নানা রকম কাজের ব্যস্ততা, সেই ব্যস্ততার মধ্যেই কাশিপুর বেলগাছিয়া এসেম্বলির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ সাহার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়।
নানা রকম কথা বার্তার মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সৌমেন মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়, ১৯৯৫ সালে পুর ভোটে এই ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি প্রার্থী হন এবং বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। তিনি বলেন ১৯৮৫ সাল থেকে যে জয় শুরু হয়েছে তা এখন ও শেষ হয়নি, তারা কখনোই সিপিআইএম এর বিরুদ্ধে কখনো পরাজয় লাভ করেননি। 


তিনি বলেন তাদের এই দীর্ঘ জয়ের পথে একমাত্র দেবতা হলেন জনসাধারণ, এই অঞ্চলের মানুষ আমাদেরকে সমর্থন না করলে আমরা কখনোই জিততে পারতাম না, হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের কাজের মাধ্যমে তারা আমাদেরকে সমর্থন করেন। আমরা যখন কাজ করেছি তখন দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলের সকল সমস্যাকে সমাধান করার চেষ্টা করেছি, আমাদের কর্মী সংখ্যা একদম কম হলেও, তারা সকলেই নিজেদের সবটুকু দিয়ে এই ওয়ার্ডের মানুষদের আগলে রেখেছেন।
গত বিধানসভায় বিজেপির উত্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০১৯ এ লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থান হলেও অথবা বিধানসভা ভোটে ৭৪ টি সিট পেলেও তারা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তা অর্জন করেছে, কিন্তু তারপর থেকে আর বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বিরোধীদের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এতগুলি প্রকল্প এনেছেন, আশেপাশে দেখা যায় না যে কোন পরিবার সেইসব প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা পায়নি। ২০২০ কোভিড পরিস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে ছিল তা জনসাধারণের মন জয় করে নিয়েছে। "হ্যাঁ দুর্নীতি হয়তো কোথাও কোথাও হয়েছে কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে নানা রকম প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা সকল গরীব মানুষ পেয়েছেন, হয়তো তাদের মধ্যে কিছু বড়লোক মানুষ এসব সুযোগগুলো সুবিধা নিয়ে নিয়েছে কিন্তু তা ছাড়া সবকিছুই অত্যন্ত সাবলীল ভাবে এগোচ্ছে।"
চারিদিকে অহরহ দলবদলে রমরমা নিয়ে জনগণের মনে অসন্তোষের কথায় তিনি বলেন, শেষ কথা কিন্তু জনগণই বলেন, যারা দল বদল করে এ দল থেকে ওই দলে গেছে জনগণ সেগুলো ভালোভাবে মেনে নেয়নি। নেতা-নেত্রীরা কখনোই ভোটের শেষ কথা হতে পারে না, নির্বাচনের শেষ কথা একমাত্র জনগণই, তারাই ঠিক করবে কে সঠিক এবং কি ভুল।
গত ৫ বছর আগে তিনি ভোটে জয় যুক্ত হওয়ার সময় যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা কতটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন তার সম্পর্কে তিনি বলেন, ওনাদের অঞ্চলে পানীয় জলের প্রাচুর্য যথেষ্ট ছিল, তারা এই অঞ্চলের জনগণদের বুঝিয়েছিলেন বাড়িতে বাড়িতে জলের রিজার্ভার তৈরি করতে যাতে পানীয় জল সংরক্ষণ করা যায়, যাতে সেই জলকেই ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যায়, 
প্রতিদিন মানুষের জন্য ১৫০ লিটার জল দেওয়া হয়, মানুষ সে জল যাতে অপচয় না করেন তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া, তাছাড়া ঠিকা বাড়ির আধুনিকীকরণ করা ইত্যাদি।
তাদের অঞ্চলে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, যারা বলছেন আমাদের অঞ্চল অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে তারা যদি সঠিক প্রমাণ দিয়ে কথাগুলি বলেন তবে আমরা তার দায় স্বীকার করে নেব, কিন্তু মনে হয় না যে তারা নির্দিষ্ট কোন তথ্য রেখে কথা বলছেন বলে।
এই পুরভোটে তিনি তার বিরোধীদের সাথে রাজনৈতিকভাবে কিভাবে বিরোধিতা করবেন তার উত্তরে হেসে বলেন, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সর্বসাধারণের জন্য নানারকম প্রকল্প শুরু করেছেন, তাতে প্রত্যেকটা পরিবার তার বেনিফিট পেয়েছে, এই রাজনীতিতেই বিরোধীরা হেরে গেছে। একটা সরকারের থেকে এত মানুষ কখনোই উপকৃত হন নি, একটা সরকার যে এতগুলো প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে তা অভাবনীয় ঘটনা।"
তাদের দীর্ঘ জয় যাত্রার ফলে তাদের মধ্যে কখনো আত্মতুষ্টি দেখা গেছে? তার সম্পর্কে তিনি বলেন, হয়ত আত্মতুষ্টি দেখা গেছিল বলেই ২০১৯ সালের ভোট ফলের সাথে ২০২১ এর ভোট ফলের পার্থক্য দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ভোটে পিছিয়ে পরাটা আমাদের আত্মতুষ্টির ফল। তিনি আরো বলেন এই সংগঠন এখানকার কর্মীরা কোন লাভের আশা করেনা, মমতা ব্যানার্জির ওপর ভরসা রেখেই এখানকার কর্মীরা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে এখানকার সংগঠনটিকে মজবুত রাখার, তারা ২৫ বছর ধরে আমার উপর ভরসা রেখেছে, সংগঠন মজবুত না হলে এটা তো হতো না।
সব রকমের কথা বলে এটাই জানা গেল তিনি এবারের তাঁর জয় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী, গত ৩৫ বছরের মতো করেই এ বছরও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষেরা ওনার উপর ভরসা রাখবেন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sourav Chattopadhyay

Related News