শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীরা সন্দেশখালি এলাকায় ভোট করতে দিত না। মানুষজন ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত। একাধিক এই ধরনের অভিযোগ সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের গোটা বেঞ্চ রাজ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়। সেখানেও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সন্দেশখালি এলাকায় এবার কড়া ভূমিকা পালন করবে। এই কথা শোনা যাচ্ছে। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘিরে এবারে অনেক বেশি নজরদারি থাকবে বাহিনীর।
সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তায় টহল চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
বেড়মজুরের হাটখোলা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছেছেন। সেখানেই তারা থাকছেন বলে খবর। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় তারা টহল দিয়েছেন। বেড়মজুর এলাকায় তারা রুটমার্চ করেছেন। নদী পেরিয়ে জ্বজেলিয়াখালি গিয়েছিলেন জওয়ানরা। সেখানেও তারা টহল দেন বিভিন্ন জায়গায়।
সন্দেশখালি এলাকা আপাতত শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে এসেছে অনেকটাই। ১১টি জায়গায় এখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আগামী দিনে সেইসব ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে।
সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে আজ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ শাহজাহান এখন সিআইডি হেফাজতে আছেন। মিনাখাঁ থেকে তাকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারপর সিআইডির হাতে তুলে দেয় তদন্তের স্বার্থে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্দেশখালি নিয়ে সিবিআই তদন্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের বেধড়ক মারধর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা নেমে আসার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এছাড়া বনগাঁ থানায় আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়। ওইসব মিলিয়ে তিনটি মামলার তদন্তভারই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ইস্যুতে বিরোধীরা খানিকটা অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ায় খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে সন্দেশখালিতে। এখন আর সেখানে অশান্তির বাতাবরণ নেই। আজ, মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তর করতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।