বাংলার ভোট-রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের নাম। লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে এবার রাজমাতা অমৃতা রায়। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতাকে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদী।
কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র '১৭৫৭’ সালে মীরজাফর, জগৎ শেঠ ও উমি চাঁদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ব্রিটিশের পক্ষ নিয়ে বাংলার নবাব সিরাজকে পড়াজিত করেছিলেন। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে নদিয়ার পলাশীতে ঘটে যাওয়া 'পলাশীর যুদ্ধ', যা বাংলায় স্বাধীন নবাব আমলের পতন ঘটিয়েছিল, যা বাংলার পতন ঘটিয়েছিল, যার ইঙ্গিত ছিল ভারত দখলের।
একটি জনশ্রুতি আছে যে ১৭৫৪ সালে নবাব আলিবর্দী খাঁ র আমলে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রাজকর দিতে না পারায় বন্দী হন । সম্ভবত সে প্রতিশোধস্পৃহায় তিনি ইংরেজদের নানাভাবে সহায়তা করেন ।পলাশীযুদ্বেও তিনি কোম্পনি শাসকদের সহায়তা করেন । পুরস্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাঁকে মহারাজা উপাধি দেন ।লর্ড ক্লাইভ তাঁকে পাঁচটি কামান উপহার দেন । সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর মীর কাসিম তাঁকে বন্দী করেন ,পরে ইংরেজদের সহায়তায় মুক্তিলাভ করেন ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে গিয়ে সেই প্রার্থী অমৃতা রায় নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, পলাশির যুদ্ধে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লার বিরোধিতা করে লর্ড ক্লাইভ-জগৎ শেঠদের সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁদের রাজ পরিবার। অর্থাৎ ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধে মিরজাফরদের সঙ্গেই ছিলেন অমৃতার পূর্বপুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়।