স্বামীর হাত ধরেই এই প্রথম রাজনীতির
মঞ্চে পা রাখলেন বিজেপির অন্যতম
মুখ মালতি পাঁজা। সাধারণ
গৃহিণী থেকে হঠাৎ করেই এই জগতে এসে বিজেপির
প্রার্থীর তালিকায়
নাম। রাজনীতির
সাথেই কি তবে নিজেকে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন আগেই যেটা কোনো কারণবশত
পূরণ হয়নি? এরকমই হাজার প্রশ্নের
উত্তর জানতে বেলেঘাটা এলাকার ৩৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপি
প্রার্থী মিতালি
পাঁজার মুখোমুখি
প্রভাতী সংবাদ –
●● “আপনার এই রাজনৈতিক
জীবনযাত্রা শুরু কি ভাবে হলো?”
●● “ আমি একজন সাধারণ গৃহবধূ ছিলাম। পাশাপাশি একটি NGO সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। ছোট থেকেই চাইতাম মানুষের জন্য কিছু করবো আমি। NGO মাধ্যমে অনেক মানুষের অনেক উপকার আমি করেছি। খুব খুশি হতাম গর্ববোধ করতাম যখন দেখতাম আমার কাজে মানুষের উপকার হচ্ছে। এই ভাবেই একদিন নিজে দিয়েই ভেবে দেখলাম আমি যদি ঘরের বউ হয়ে NGO তে কাজ করতে পারি তাহলে রাজনীতিতে নামতে পারবো না কেন? এই ভেবেই আমি আমার স্বামীর সাথে এই বিষয় কথা বলি তারপর ওনার হাত ধরেই আমার এই রাজনীতির যাত্রা শুরু হলো।”
●● “ আপনি তো এই ওয়ার্ডের বিজেপির তরফ থেকে মহিলা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তো এই নির্বাচনে জয়ী হলে কি কি বিষয় নিয়ে কি কি পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?”
●● “পরিকল্পনা যা আছে সেটা এখন মুখে কিছু বলতে চাইনা একেবারে কাজে করে দেখানোর ইচ্ছে আছে। এমনিতে কিছু জিনিস ভেবেছি যেমন যারা আবার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে, তাদের প্রত্যেকের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকে
একটি করে ল্যাপটপ দিতে চাই, বয়স্ক মানুষদের জন্য ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করতে চাই, দুস্থ গরিব ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনাপয়সাতে খাতা, বই, কিনে দিতে চাই, রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
করে তুলতে চাই, এই এলাকার
মানুষের জন্য মিষ্টি পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে চাই, যাতে মানুষকে
জলের জন্য আর কষ্ট করতে না হয়, মানুষের
পাশে আর্থিক
ভাবে, মানসিক
ভাবে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।”
●● “ত্রিপুরাতে বিজেপির জয় দেখে কলকাতা পৌরসভার
ভোট নিয়ে আপনি বা আপনার দল কতটা আশাবাদী?”
●● “ত্রিপুরাতে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন, কলকাতাতেও যদি মানুষ সঠিক জায়গাতে সঠিক ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে নিশ্চই আমরাই জয় লাভ করবো। কিন্তু মানুষকে তো সেই অধিকারটাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়েই মানুষের সত্যের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
●● “নতুন প্রজন্মের যারা রাজনীতিতে পদার্পন করতে ইচ্ছুক যাকগে তাদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চাইবেন?”
●● “আমি এটাই বলবো নতুন প্রজন্মকে যে ভালো করে পড়াশোনা করো, অনেক শিক্ষিত হও, নিজেদের পায়ে দাঁড়াও, তারপর আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজের জন্য, জনগণের জন্য, নতুন নতুন উন্নয়নমূলক কাজ করতে এগিয়ে এসো। রাজনীতির মঞ্চে শিক্ষিত মানুষের খুব অভাব, সেই শুন্য জায়গাটা তোমাদেরকেই পূরণ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”