অবসাদ কাটানোর কিছু ঘরোয়া উপায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আমরা সকলের জীবনেই অবসাদ কমবেশি থাকে। কখনও কাজের চাপে, কখনও চাকরি না পাওয়ার অবসাদ। আবার কখনও বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণ আসা অবসাদ। কিছু অবসাদ অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়, হতাশা ইত্যাদি থেকেও আসে। জীবনে যে কোনও স্তরে যে কোনও কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ।কখনও এই অবসাদই ধারণ করে চরম আকার। দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগে মানুষ বেছে নেয় আত্মহত্যার মতো অবাঞ্ছিত রাস্তা। অবসাদ কাটাতে চিকিত্‍সকদের সাহায্য পাওয়া গেলেও নিজেকে নিজে সাহায্য না করলে অবসাদ কাটানো কখনই সম্ভব নয়। তবে, কিছু জিনিস মেনে চললে কাটতে পারে অবসাদ।
১.কারও কাছে অধিক প্রত্যাশা করবেন না-
কখনই প্রত্যাশা করবেন না দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তি আপনাকে বুঝে চলবে বা আপনার মনের মতো হবে। নিজের সমস্ত কাজ নিজেই করতে শিখুন । জীবনের কোন ক্ষেত্রেই কারও ওপর নির্ভর করে থাকবেন না। কেউ আপনাকে কোনকিছুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মানেই যে সে কথা রাখতে সমর্থ হবে এমনটা ভেবে থাকবেন না। এতে নিজেরই যন্ত্রণা বাড়ে। সবকিছুকে হালকা করে না দেখলে এই যুগে তাল মেলাতে পারবেন না।
২.গান শুনুন-অবসাদ কাটানোর জন্য খুব উপযোগী গান শোনা। তবে দুঃখের গান নয়, এমন গান শুনুন যা মনকে শান্তি দেবে, খুশি রাখবে আপনাকে। পজিটিভ গান চালালে চারপাশটাই পজিটিভ এনার্জিতে ভরে ওঠে। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করে অবসাদ দূরে রাখতে পারে গান।
৩.নেগেটিভ কথা বলা বন্ধ করুন-অবসাদে ডুবে থাকা মানুষ নিজের চারপাশে সবসময়ই হতাশা দেখে। কথাবার্তার মধ্যেও ফুটে ওঠে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। নিজের সম্পর্কে সংশয়, নিজেকে মূল্যহীন ভাবেন অবসাদে ভোগা মানুষ। এইসময় মানুষ খারাপ কিছু ঘটলে নিজেকে দোষ দেয়, ভাল কিছু ঘটলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানায়। নেগেটিভ চিন্তা, নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে দূরে থাকা উচিত্‍ অবসাদে ভোগা মানুষের।
৪.শরীরচর্চা- অবসাদ কাটাতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। শরীরচর্চার ফলে শরীর থেকে এনডোরফিন বেরিয়ে যায়। ফলে আমাদের মন ভাল থাকে। মন ভাল রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকায় রোগভোগও অনেক কম হয়। বাড়ে আত্মবিশ্বাস। সকল মানুষেরই প্রতিদিন আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত্‍।
৫.মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন-অবসাদে ভুগলে মানুষ অনেক সময় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। কিন্তু এই সময় সবথেকে খারাপ একা থাকা। বাড়ির বাইরে বেরোতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এই সময় অনীহা দেখা যায়। একা সময় কাটাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, সময় কাটান। জীবন উপভোগ করুন।
৬.যারা অবসর নিয়েছেন- এতদিন চাকরির কারণে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারেননি হয়তো। অবসরের পর পরিবারের সদস্যদের অনেকটা সময় দিন। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যেই কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।এতদিন হয়তো কাজের চাপে আপনার কোনও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার সেই স্বপ্নগুলোকে পূরণ করে ফেলতে পারেন। তা পড়াশোনা হোক কিংবা কম্পিউটার শেখা কিংবা যেকোনও কিছু। বাড়ির খুদে সদস্যটিকে লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্বও নিতে পারেন। মোট কথায় ব্যস্ত রাখুন নিজেকে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News