এবার থেকে সুবিধা আরো কমে গেলো গৃহ ঋণে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গৃহ ঋণ কী? বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য কোনও ব্যাঙ্ক বা হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি থেকে এই ঋণ নিয়ে থাকে গ্রাহক। গৃহঋণ নেওয়ার সময় ৩-৪টি জিনিস মাথায় রাখা আবশ্যক। প্রথমত, সুদের হার, দ্বিতীয়ত মোট ঋণের পরিমান, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ, ক্রেডিট স্কোর।
মধ্যবিত্তের গৃহঋণের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধা বছর কয়েক আগে চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের চতুর্থ বাজেটের আগে একটি মহলের আশা ছিল, ব্যক্তিগত আয়করের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হতে পারে। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে ব্যক্তিগত করবিহীন আয়ের সর্বোচ্চসীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেই সীমা বেড়ে হতে পারে ৩.৫ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়ের সর্বোচ্চসীমাও (১৫ লাখ টাকা) কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা ২০১৪সালে শেষবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা দু'লাখ টাকা থেকে ২.৫লাখ টাকা করা হয়। যা প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে করা হয় তিন লাখ। তারপর থেকে একবারও ব্যক্তিগত আয়কর মকুবের সর্বোচ্চসীমা বাড়ানোর পথে হাঁটেনি মোদী সরকার।

আয়কর আইন ২৪-এর আওতায় হোম লোন-এর সুদের উপর ২ লাখ টাকার কর ছাড় পাওয়া যায়।যদি কোনও ব্যক্তি হোম এবং হোমনেহোম লোন এবং তিনি যদি তাঁর লোনের মূল অঙ্ক পরিশোধ করেন, তবে তিনি এতে কর ছাড় পেতে পারেন। এক্ষেত্রে একটিই মাত্র শর্ত থাকে, যে প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়া হচ্ছে, সেটি যেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় থাকে। ছাত্র হোক বা কো-অপারেটিভ সোসাইটির অ্যাকাউন্ট হোল্ডার খুব সহজেই কোনও ব্যক্তি হোম লোন নিতে পারে। মনে রাখতে হবে, বাড়ি যদি নির্মাণাধীন থাকে অর্থাৎ বাড়ির কাজ যদি পুরো না হয়, তবে হোম লোনএর উপর কর ছাড় পাওয়া যাবে না। এছাড়া, যে বাড়িটির জন্য লোন নিচ্ছেন, সেটি ৫ বছরের মধ্যে বিক্রি করা যাবে না। যদি বিক্রি করা হয়, তবে মোট আয়ের উপর ট্যাক্স নেওয়া হবে। ২০১৯-২০ সালে ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণের ওপরে বাড়তি যে কর ছারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল, সেটি পরের অর্থবর্ষেও চালু ছিল।কিন্তু গত বাজেটে তা নিয়ে কোনও কথাই বলেননি অর্থমন্ত্রী। তখনই অনেকে আঁচ করেছিলেন মধ্যবিত্তকে দেওয়া সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, শুধু যাঁরা বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনবেন তাঁদের ক্ষেত্রেই নয়, এটা ধাক্কা দেবে বিক্রেতাদেরও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ধাক্কা খেয়েছিল আবাসন শিল্প। এখন পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হওয়ার পথে তখন আয়করের বাড়তি সুবিধা উঠে যাওয়ায় ক্রেতারাও বিমুখ হতে পারেন।তবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা না হলেও যে সব গ্রাহকের ঋণের অনুমোদন গত ৩১ মার্চ বা তার আগে হয়ে গিয়েছে তাঁরা এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। ৮০ এ ধারায় কর ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News