ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি যাতে অ্যালগরিদম ব্লক এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি করে বানানো হয়। এই কারেন্সি উৎপাদনের জন্য টাকার মতো বিশেষ কোনো সরকার বা রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত গঠন হয়নি। অর্থাৎ টাকার মত কোন ব্যাংক এটিএম থেকেও এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না।
বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন এছাড়াও আরো অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে সেগুলি হল ইথেরিয়াম, মনেরো, কসমস প্রভৃতি। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার অধিক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে কারণ এর লেনদেনে হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা খুবই কম।
চলতি বছরের 15 ই মার্চ ভারত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার নিষিদ্ধ করার
পথে হেটে ছিল। শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞা নয় এর ব্যবহার কে অপরাধের আওতায় আনবে বলেছিল
ভারত সরকার। ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা নিষিদ্ধ করা এবং তা অপরাধের আওতায়
ফেলার পথে প্রথম দেশ হয়তো ভারত ই হত। কিন্তু
এই পথ হয়তো অতটাও সোজা হতো না কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা
ছিল প্রায় 70 লক্ষের বেশি মানুষ।
2017 সালের পর থেকে বিটকয়েনের দাম অত্যন্ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য 46 হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ আমাদের টাকার হিসাবে যা দাঁড়ায় 34.46 লাখ। এর ফলে রাতারাতি এতে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়তেই থাকছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারী সংখ্যা
বেড়েছে প্রায় কয়েক শো গুণ এবং তাতে পিছিয়ে নেই মহিলারাও। 2020 সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি
কে বিনিয়োগ ছিল 92 কোটি 30 লক্ষ ডলার 2021 এ কোভিড পরবর্তী সময়ে তা বেড়ে দাঁড়ায়
6,600 ডলার !!
তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রায় যে বিপদের আশঙ্কা আছে তা নিয়ে দ্বিতীয়বার বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেন আর বি আই এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ম্যাক্রো অর্থনৈতিক এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ।
কর্নাটকের ক্রিপ্টোকারেন্সি স্ক্যাম এর পরই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষেধাজ্ঞায়
তৎপর হয় ভারত সরকার। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা কমাতে এই নিষেধাজ্ঞা।
যাতে খুব দ্রুতই এই বিষয়ে সতর্ক হয় বিনিয়োগকারীরা।