পর পর জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। মোহালির মাঠে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়ল তারা। পাঞ্জাব কিংসের ২১৪ রান তাড়া করে জিতলেন রোহিত শর্মারা। ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নিল মুম্বই। ঈশান কিশন এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে জয় পেল তারা।
২১৫ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তৃতীয় বলেই রোহিতকে হারায়। কোনও রান না করেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন ঈশান কিশন। তিনি এবং ক্যামেরন গ্রিন দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ১৮ বলে ২৩ রান করে গ্রিন আউট হলেও ঈশান ক্রিজ ছাড়েননি। সঙ্গী হিসাবে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁরা ১১৬ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচ মুম্বইয়ের হাতের মুঠোয় এনে দেন ঈশান এবং সূর্য।
৬৬ রান করে সূর্য আউট হওয়ার সময় মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে ১৭০ রান। পরের ওভারেই আউট হন ঈশান। তিনি করেন ৭৫ রান। রোহিতের রান না পাওয়া ঢেকে দেন তাঁরা। ২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্যও সহজ মনে হচ্ছিল সূর্যরা ব্যাট করার সময়। পঞ্জাবের বোলাররা তাঁদের আটকানোর কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
সূর্য এবং ঈশান আউট হলে নামেন টিম ডেভিড এবং তিলক বর্মা। তাঁরা ছন্দে রয়েছেন। তিলকদের সামনে আর ৪৫ রান প্রয়োজন ছিল। হাতে তখনও ২৯টি বল। মাঠে নেমেই ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেন তিলক। তৃতীয় বলেই ছয় মারেন তিনি।
পঞ্জাবের দুই ওপেনার খুব বেশি রান পাননি। প্রভসিমরন সিংহ মাত্র ৯ রান করেন। অধিনায়ক ধাওয়ান ২০ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমে ম্যাথু শর্ট ২৬ বলে ২৭ রান করেন। এই তিন ক্রিকেটার সাজঘরে ফিরতে পঞ্জাবের রানের গতি আরও বেড়ে যায়। জিতেশ শর্মা এবং লিয়াম লিভিংস্টোন মুম্বইয়ের বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠাতে শুরু করেন। তাঁরা ১১৯ রানের জুটি গড়েন।
প্রভসিমরনের উইকেট নেওয়া আরশাদ খান ৪ ওভারে ৪৮ রান দেন। ইংরেজ পেসার জোফ্রা আর্চার ৪ ওভারে ৫৬ রান দেন। নিজের শেষ ওভারে ২৭ রান দেন তিনি। ওই ওভারেই ২০০ রানের গণ্ডি পার করে পঞ্জাব। ২ উইকেট নেওয়া পীযূষ চাওলা ৪ ওভারে ২৯ রান দেন। কুমার কার্তিকেয় ৩ ওভারে ২৪ রান দেন।
পঞ্জাবের পরের ম্যাচ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। ৮ মে ইডেনে খেলবে তারা। মুম্বই পরের ম্যাচ খেলবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। ৬ মে সেই ম্যাচ হবে চেন্নাইয়ে।