গোয়ার মাঠে এবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনাল। আগামী ১৮ মার্চ এই ফাইনাল খেলা হবে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। অনলাইন এবং অফলাইন দু ভাগেই ফাইনালের টিকিট কাটতে পারবেন দর্শকরা। ৫ মার্চ থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে যাবে প্লে-অফের খেলা। দুটি দল সেমিফাইনালে উঠেছে। এই প্লেঅফ থেকে আরও দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে।
ফুটবলপ্রেমীরা ফাইনাল দেখার জন্য অনলাইন টিকিট বুক করতে পারবেন ৫ মার্চ থেকে BookMyShow.com এর মাধ্যমে। ফাইনালকে ঘিরে গোয়ায় ওই সময় হবে এক ফুটবল কার্নিভাল, যাতে ফুটবলপ্রেমীরা সপরিবার অংশ নিতে পারবেন এবং ফুটবলের যাবতীয় আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। শুধু গ্যালারিতে বসে ফাইনাল ম্যাচ দেখা নয়, তার বাইরেও নানা রকমের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে ফুটবলপ্রেমী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য। অর্থাৎ, আইএসএল ২০২২-২৩-এর ফাইনাল দেখতে গিয়ে গোয়ায় ছোটখাটো এক বেড়ানোরও পরিকল্পনা যে কেউ করে ফেলতেই পারেন।
কর্তৃপক্ষের দাবি, গোয়াতে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত মাঠ রয়েছে। অত্যাধুনিক পরিকাঠামোও রয়েছে। ফলে ফুটবলারদের কোনো অসুবিধা হবে না।
কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ কলকাতা, কেরালা ও মুম্বইয়ের ফুটবল সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত আইএসএল ম্যানেজমেন্টের ঔদ্ধত্য। তাঁরা জানেন যে যে কেরালা, মুম্বাই বা এটিকে মোহনবাগানের ফুটবল ভক্তরা ওই স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে পারবে না। তাও কেন ফাইনাল ম্যাচ গোয়াতে দেওয়া হল? আবার কেউ লেখেন, এই সিদ্ধান্ত একদম বাজে। যুবভারতীর মতো স্টেডিয়াম থাকতেও কলকাতা ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেল না! এটা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, রবিবারই লিগ শিল্ড জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী মোট ৬টি দল প্লে অফের সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যেই মুম্বই এবং হায়দরাবাদ সরাসরি সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করেছে। প্লে অফের জন্য কোয়ালিফাই করেছে এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্স। ওড়িশা এফসি বা এফসি গোয়ার মধ্যে একটি দল কোয়ালিফাই করবে। দুই দলকে কোয়ালিফাই করতে গেলে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। প্লে-অফের ম্যাচ শুরু হবে ৩ মার্চ থেকে। প্রথমে দু’টি নক আউট, তারপর সেমিফাইনালের মধ্য দিয়ে ১৮ মার্চ ফাইনাল হবে।