ঠান্ডা লেগে গলা ধরে যাওয়াটা খুব ই স্বাভাবিক ব্যাপার ।আমাদের সবার ই কোনো না কোনো সময় ঠান্ডা লেগে গলা বসে গিয়েছে ।বছরের এই সময় ঠান্ডা লাগা ,গলা ব্যাথা ,গলা বসে যাওয়া ,কাশি ,সর্দি ,জ্বর প্রভৃতি সমস্যাগুলি বেশিই দেখা দেয় ।মূলত সিজন চেঞ্জ এর সময় ই এই সমস্যা গুলি বেশি দেখা যায় ।আবার অনেক সময় শরীরে ধুলো ধোঁয়া ,নোংরা প্রবেশেও এই সমস্যা দেখা দেয় ।আবার সঙ্গীতশিল্পী বা রাজনৈতিক দের ও দীর্ঘ সময় ধরে জোরে কথাবার্তা,চিৎকার বা চড়াই তে গান গাওয়া প্রভৃতি কারণে গলা বসে যায় । যদি কিছুদিনের মধ্যেই বসে যাওয়া গলা আবার ঠিক হয়ে যায় তাহলে কোনো সমস্যা নেই ।তবে দীর্ঘদিন গলা ধরা থাকলে বাড়িতে হাত গুটিয়ে বসে থাকা একেবারেই উচিৎ নয়।এই গলা বসে যাওয়া অনেক সময় অনেক বড়ো রোগের ও লক্ষণ হতে পারে ।
গলা ১৫ দিনের বেশি বসে থাকলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঠাণ্ডাজনিত নয় বরং কোনো বিপদজনক কারণে গলা বসে যেতে পারে ।
এক্ষেত্রে ধূমপান কারীদের সতর্ক থাকা উচিত ।অনেক সময় গলার ক্যান্সার এর লক্ষণ হিসেবে গলা বসে যায় বা ভেঙ্গে যায় । যত দ্রুত সম্ভব ধুম্রপান পরিত্যাগ করাই বাঞ্ছনীয় ।
রাজনৈতিক নেতা ও সঙ্গীতশিল্পীদের উচিৎ গলা বসে গেলে কিছুদিন রেস্ট নেওয়া ও গলা কে বিশ্রাম দেওয়া ।ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে থাকলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
তবে সাধারণ ঠান্ডা লাগায় বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললেই অনেকটা সুরাহা হয়।টোটকা গুলি নিম্নরূপ -
* প্রতিদিন ১০ মিনিট করে গরম জলের ভাপ( বাষ্প ) নাক ও মুখ দিয়ে নিলে অনেকটা উপকার হয় ।
* ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা লেবু ও ২ টি লবঙ্গ দিয়ে সেটি পান করলেও কষ্ট লঘু হয় ।
* ৬ থেকে ৭ টি পুদিনা পাতা কে এক কাপ জলে দিয়ে জল টি ফোটান ।জল ফুটে ১/২ কাপ হয়ে গেলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান ।চার পাঁচ এরকম কয়েকবার খেলে গলা অনেক তাই স্বাভাবিক হয় ।
গলা ধরে গেলে অনেকেই গরম জল দিয়ে গার্গল করার পরামর্শ দেন ।তবে গলা ধরায় গার্গল না করায় ভালো ।কারণ ,এমতাবস্থায় গলার একটু বিশ্রাম এর প্রয়োজন হয় ।গার্গল এ অনবরত গলার ব্যাবহার কষ্ট আরো বৃদ্ধি পায় ।ফলে গলা ঠিক হওয়ার বদলে আরো বসে যেতে পারে ।তাই গার্গল না করায় ভালো ।
ঘরোয়া টোটকা গুলি তে সুফল না পেলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রয়োজন ।গলা বসে যাওয়া কে ছোটো সমস্যা ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়।