গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার নিয়মাবলী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গর্ভনিরোধক বড়ি প্রজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রতিস্থাপনের জন্য প্রোজেস্টিন নামক একটি সিন্থেটিক হরমোন ব্যবহার করে। তবে এই হরমোনটি গর্ভধারণ করতে এবং না করতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়। অযাচিত গর্ভধারণ আটকাতে জন্মনিয়ন্ত্রক পিল একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। সঠিক নিয়ম মেনে এই পিল খেলে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত অযাচিত গর্ভধারণ আটকানো সম্ভব। মূলত তিন ধরণের গর্ভনিরোধক বড়ি রয়েছে। এর মধ্যে কম্বিনেশন পিলস, জরুরি গর্ভনিরোধক বড়ি, মিনি বড়ি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংমিশ্রণ বড়ি – এই জাতীয় এস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিন হরমোন সিন্থেটিক আকারে থাকে। এই বড়িগুলি বিভিন্ন প্যাক এবং দিন হিসেবে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২১ দিনের প্যাকগুলিতে ২১ টি সক্রিয় ট্যাবলেট থাকে, ২৮ দিনের প্যাকগুলিতে ২১ টি সক্রিয় ট্যাবলেট এবং ৭ টি সক্রিয় ট্যাবলেট থাকে। নিষ্ক্রিয় ট্যাবলেটগুলি মাসিকের সময় ব্যবহৃত হয়। প্যাকটি সঠিক সময়ে নিতে হবে।
জরুরী গর্ভনিরোধক বড়ি – এই ধরণের বড়ি গর্ভাবস্থা রোধ করতে ব্যবহৃত হয়। এটিতে প্রচুর পরিমাণে হরমোন রয়েছে যা গর্ভাবস্থা ঘটাতে দেয় না। এই বড়িগুলি সুরক্ষিত যৌনতার পরে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রাস করা হয়। এছাড়াও, আরও তথ্যের জন্য চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
মিনি বড়ি – মিনি বড়িগুলি কেবলমাত্র প্রোজেস্টিন-ওষুধ হিসাবে পরিচিত। এটি মাসিকের শেষ সপ্তাহের সময় ব্যবহার করা উচিত। তবে এগুলি গ্রহণের ফলে যদি এই বড়িগুলি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তবে কয়েক মাসের মধ্যে স্পটটিং হতে পারে। কিন্তু জন্মনিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতি মানা না হলে কনসিভ করার সম্ভাবনা ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার নিয়ম-
সাধারণত পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে যে কোনও দিন পিল খাওয়া শুরু করা যেতে পারে। প্রতিদিন রাত্রে খাবার খাওয়ার পর নির্দিষ্ট পিলটি খেতে হবে। পর পর ২১ দিন খেতে হবে। তারপর এক সপ্তাহ বন্ধ রেখে আবার নতুন প্যাকেট শুরু করতে হবে। কোন একদিন ভুলে গেলে পরদিন দুটো পিল খেতে হবে। বর্তমানে বাজারে ২১ প্লাস ৭ ও ২৪ প্লাস ৪টি পিলেরও প্যাকেট পাওয়া যায়৷ এর সুবিধা হচ্ছে মনে রাখার বা ভুলে যাওয়ার কোন ব্যাপর থাকে না। ২৮ দিন পর পর নতুন প্যাকেট শুরু করলেই হল৷ বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক নারীদের ক্ষেত্রে ৩-৪ মাস আগে থেকে পিল খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোন ধরনের পিল খাওয়া উচিত তা ঠিক করে নেয়া ভালো। তাহলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়ানো যায়।

পিল খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে-
১) বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা
২) মাথা ব্যথা হওয়া
৩) মেজাজ খিটখিটে হওয়া
৪) বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
৫) ওজন বেড়ে যাওয়া
৬) চোখে দেখার অসুবিধা বা ঝাপসা দৃষ্টি
৭)ব্রেস্টে ব্যথা
৮) পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং
৯) সেক্সুয়াল আগ্রহ কমে যাওয়া
১০) পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।
বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয়-
গর্ভপাতের পর সাধারণত ৪-৬ সপ্তাহ পরে পিরিয়ড দেখা দিতে পারে। আবার কারোর আগে ও হতে এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে যদি ৪-৬ সপ্তাহ পার হয়ে যায় পিরিয়ড না হয় তাহলে আপনাকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News