বাঙালি ভোজনরসিক। শীতকাল পড়লেই বাঙালির শুরু হয়ে যায় খাওয়াদাওয়া। প্রতিদিন নানান ধরনের খাবারে মেতে থাকেন সকলেই। বিকেলের ভাজাভুজি হোক বা দুপুরের বিভিন্ন শাক - সবজি , শীতকালে মন টানে সবকিছুই।
শাক - সবজির সাথে থাকে শীতকালের নতুন গুড়। এরপরই চলে আসে মকর সংক্রান্তি। নতুন গুড়ের পিঠের স্বাদ পাওয়া যায় সব বাড়ি থেকেই। তবে শুধু খাওয়াদাওয়াই নয়, শীতকাল পড়লেই মানুষ মন আনচান করে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। এই সময় কোথাও কোথাও দেখা যায় পিকনিকের আয়োজন।
তবে এইসবের মধ্যে শীতকালে মানুষ অসুস্থ হয় বেশি। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার ফলে দেখা দেয় নানান সমস্যা। এছাড়াও শীতকালে শারীরিক পরিশ্রম অনেক কম হয়। সকলেই আলস্যে গুটিয়ে যায়।
বিশেষ করে যারা ডায়েটের মধ্যে রয়েছেন তাদের শীতকালে শরীরের ওজনের দিকে নজর রাখা উচিত। বিভিন্ন খাওয়াদাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে শীতকালে।
তবে বিশেষ কয়েকটি শাকসবজি রয়েছে যা শীতকালে ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের তৈরি খাদ্য তালিকায় বিশেষ কিছু পদ যোগ করলে শরীরের ওজন বজায় থাকে।
১. গাজর :-
গাজর ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। অনেকেই ডায়েটের মধ্যে গাজর রাখেন। গাজর একটি ফাইবারযুক্ত সবজি। ফাইবার থাকার কারণে এটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। গাজরে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। এছাড়াও গাজরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে , যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি।
২. মুলো :-
মুলোতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, তাই এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে ওজন বাড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুলো খাওয়া উচিত।
৩. সবুজ শাক :-
শাকের গুণাগুণ অনেক। শীতকালে শাক খেতেও ভালো লাগে। শাক পুষ্টিতে পরিপূর্ণ থাকে। শাক শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করে না , শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং খনিজগুলির ঘাটতিও পূরণ করে।
৪. চিনাবাদাম :-
চিনেবাদামে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। শীতের মরশুমে চিনাবাদাম অত্যন্ত ভালো খাবার। চিনাবাদাম দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটকে ভরতি রাখে। ফলে তাড়াতাড়ি খিদে পাবে না। চিনেবাদাম ওজন কমাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। উত্তর ভারতে শীতকালে গুড় ও তিলের বীজ দিয়ে চিনাবাদামের সঙ্গে বেশ কিছু সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়।
৫. মিষ্টি আলু :-
মিষ্টি আলু মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী। বহু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৬. বিট :-
বিট একটি অত্যন্ত পুষ্টিপূর্ণ সবজি। এতে শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বিটে চর্বি ও ক্যালোরি কম থাকে। এতে জলের পরিমাণও বেশি থাকে। বিট ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাবার। বিট কাঁচা খাওয়া যেতে পারে বা রান্না করেও খাওয়া যেতে পারে।