সঙ্গীত জগতের খ্যাতনামা নাম অরিজিত্ সিং। তাঁর গান মানেই অনন্য আবেগ, অনন্য নস্টালজিয়া। অরিজিত্ সিং এমন একজন মানুষ যিনি ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত টানা ৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন।
বিশ্বজোড়া খ্যাতি অরিজিত্ সিং-এর। কিন্তু অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি। বাংলার ছেলে অরিজিত্ সিং এর পৈতৃক নিবাস মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ-এ। মুম্বাই খ্যাত শিল্পীকে একাধিকবার নানান সামাজিক কাজের সঙ্গে থাকতে দেখা গেছে। এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর মেডিক্যাল কলেজ তৈরির স্বপ্নের কথা। যেমনটা জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে জঙ্গিপুরে মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতাল তৈরি করতে চান তিনি আর সেই উদ্যোগে তিনি পাশে পেলেন রাজ্যের সম্মানীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানালেন অরিজিতের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইদিন মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে জানালেন, অরিজিত্ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে চান। আর অরিজিতের এই উদ্যোগে পাশে থাকার বার্তা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার ছেলে অরিজিৎ। খুব ভাল গান করেন। আজকে সারা বিশ্বের গর্ব। অরিজিৎ আমাকে বলেছে, দিদি আমি জঙ্গিপুরে মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতাল গড়তে চাই। আমি তাঁকে মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে বলছি। তুমি কর, যা যা সাহায্য লাগবে…জঙ্গিপুরেও তুমি যদি করতে চাও আমরা সব সাহায্য দেব। তুমি এগিয়ে এসো। ও একটা মা মাটি মানুষের লোক। মানে মাটিতে চলার লোক। দেখবেন ওঁর কোনও অহংকার নেই। ওঁর নিজের গুণই ওঁর সবচেয়ে বড় অহংকার, ওঁর অলঙ্কার। কাজেই এই ধরনের যে কাজ হবে আমরা করব।”
KIFF ২০২৩-এর মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে 'রং দে মোহে গেরুয়া' গান গাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক শুরু হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। গেরুয়া রঙের সঙ্গে বিজেপি সম্পর্ক জড়িয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলে অরিজিত সবুজ শিবিরকে খোঁচা দিতেই এই গান গেয়েছেন আবার একদল বলে অরিজিত্ কোনো রকম উদ্দেশ্য প্রণীত হয়ে গানটি গাননি। মঞ্চে বলিউড বাদশা ছিলেন তাই তাঁর ছবির গানের লাইন গেয়েছেন।
'রং দে মোহে গেরুয়া' গান বিতর্কের পরেই অরিজিতের কলকাতায় শো করা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ইকো পার্কে অরিজিতের শো করার অনুমতি না পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়ে। যদিও ইকো পার্কে শোয়ের অনুমতি না পেলেও বিকল্প স্থান হিসাবে মিলনমেলা প্রাঙ্গণ, নিকো পার্ক অথবা অ্যাকোয়াটিকা'র কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলেই জানা যায়।