রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২৬৯ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরির ওপর আগেই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থী। মামলা শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “আগে প্রার্থীদের হলফনামা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে, তারপরে যদি তাঁদের অযোগ্য মনে হয় কিংবা তাঁরা যদি বেআইনি ভাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন মনে হয় তাহলে আদালত যে রায় দেবে তা মানতে হবে প্রার্থীদের”।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন ৫৪ জন প্রার্থী। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যারা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাঁদের সকলের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ৫৪ জনের মধ্যে ৫৩ জন আদালতে হাজির ছিলেন, তবে যিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর চাকরি বাতিলের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সকলেই জেল হেফাজতে রয়েছে। দুর্নীতি মামলার ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।