বিশ্বকাপ জ্বরে ভুগছে গোটা বিশ্ব। একমাস ধরে বিশ্বের নানাপ্রান্তে একটাই আলোচনা বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022)। ফুটবল সমর্থকদের ভিড়ে কাতার এখন পরিপূর্ণ। ভারত বিশ্বকাপে না খেললেও ভারতের মাটিতে ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা একটুকুও কম নেই।
রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মুখেও শোনা গেল ফুটবলের কথা, বিশ্বকাপের কথা! মেঘালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলে গেলেন, 'ভারতও একদিন বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। সেদিন বেশিদূরে নয়।'
মোদী এ দিন জনসভায় বলেছেন,’আজ দুই দেশ কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ খেলছে। কিন্তু নিশ্চয়তার সঙ্গে বলছি যে, ফিফা বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে ভারত। তেরঙ্গার জন্য উল্লাস করব তখন।’
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্য এ দিন বিজেপির তরফেও টুইট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর বিশ্বকাপ উত্তাপের পারদ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, ভারত আজ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়নি। কিন্তু ফুটবল নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে উন্মাদনার কোনও খামতি নেই। ভারতীয় নাগরিকরা নিজেদের পছন্দের দল বেছে নিয়ে তাঁদের সমর্থনেই গলা ফাটানো শুরু করেন। কেউ আর্জেন্টিনা, তো আবার কেউ ব্রাজিল, কেউ আবার জার্মানিকে সমর্থন করেন। কেউ আবার মেসি, নেইমার বলতে অজ্ঞান। তবে আজকের ম্যাচে ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা। অধিকাংশ মেসি ফ্যানের মধ্যেও গলা ফাটাচ্ছেন ফ্রান্সের এমবাপের হয়ে।
জল্পনা শুরু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি ভারতে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়, তাহলে নিজের দেশে ফুটবল তারকাদের চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন ভারতীয়রা।
শুধু তাই নয়, এদিনের সভা থেকে বিরোধীদের লালকার্ড দেখিয়েছেন মোদী। বক্তৃতায় তিনি বলেন, 'ফুটবল মাঠে যদি কোনও খেলোয়াড় নীতি বিরুদ্ধ আচরণ করেন তবে তাঁকে লাল কার্ড মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তেমনই আমরা (পড়ুন বিজেপি) গত আটবছরে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দুর্নীতি, অনুন্নয়নকে লালকার্ড দেখিয়েছি।'
মোদীর কথা মতো যদি সত্যিই ফুটবল বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হয় তবে তা ইতিহাস হবে। সেই বিশ্বকাপে খেলবে ভারত। দেশবাসী সেই ভারতের হয়ে গলা ফাটাবেন। স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে উড়বে তেরঙা, বাজবে, 'জন-গণ-মন.'।