#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:
ছোট হোক কিংবা বড় আমরা কম বেশি সবাই চকলেট খেতে বেশ পছন্দ করি। সবার মন খুশি করে দেওয়ার মত উপহার হল চকলেট। চকলেটের লোভ সামলিয়ে রাখা বেশ মুশকিল হয়ে যায় আমাদের জন্য। তবে বাজারে রয়েছে চিনি ও দুধ দিয়ে তৈরি নানান রকম ক্যান্ডি যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। তাই চকলেটের লোভ সামলাতে খেতে পারেন ডার্ক চকলেট।
চকোলেট নাকি হৃদরোগের আশঙ্কা এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে৷ দিনে যদি দু’ টুকরো ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যেস থাকে, তা হলে কমতে পারে রক্তচাপ৷ এর মধ্যে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েডস খুব শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট৷ ডার্ক চকোলেটের একটি বারে যে পরিমাণ ফ্ল্যাভোনয়েডস থাকে, তা নাকি পাঁচটি আপেলের সমান৷ এর উপস্থিতিতে নাকি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে, তবে অতিরিক্ত চিনি মেশানো চকোলেটে এই গুণগুলি পাবেন না৷ কোকো মস্তিষ্কে রক্ত সংবাহনের পরিমাণ বাড়ায়, তাতে বাড়ে মানুষের বুদ্ধি৷ মুড ভালো করতেও এর জুড়ি নেই৷ দক্ষিণ আমেরিকায় প্রাচীনকালে তো ডায়ারিয়া বা পেটের কোনও সমস্যায় ওষুধ হিসেবে চকোলেটের ব্যবহার হত, কারণ ক্ষুদ্রান্ত্রের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণেও নাকি চকোলেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷
ডার্ক চকোলেটে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন মিনারেলস ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, তামা এসব থাকে। শরীরের পক্ষে কিন্তু সবকটিই বেশ গুরুত্বপূর্ন। রক্ত কমে গেলে, আয়রনের মাত্রা কমে গেলে এগুলি কাজে দিতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চকলেট যেহেতু কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তাই এটা হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ডার্ক চকলেট খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অনেকাংশেই সাহায্য করে। দিনে এক টুকরো চকলেট স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
মুড ভালো করে
চকলেট খেলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যায়। ব্যাপারটা শুধু যে আমাদের মস্তিষ্কের একটা অনুভূতি তাই নয়, চকলেটে থাকা পলিফেনল বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে মুড ভালো করতে সাহায্য করে। চকলেট খেলে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে সেরাটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই সেরাটনিনই আমাদের মস্তিষ্কে Feel Good বার্তা পাঠায়।
ডার্ক চকলেটের রয়েছে জাদুকরী গুণ যা সবাইকে আকর্ষণ করে। ডার্ক চকোলেট ভালোবাসেন না, এরকম মানুষ কমই দেখা যায়। এক টুকরো চকলেট মুখে দিলেই আমরা বেশ ফুরফুরে বোধ করি৷ উপহার হিসাবেও ডার্ক চকোলেট দারুণ প্রিয়। নিজের জন্যেও বাড়িতে বানিয়ে রাখতে পারেন ডার্ক চকোলেট। কারণ ডার্ক চকোলেটের রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা।
ভালো মানের কালো বা ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকেই বলে ডার্ক চকলেট। এতে আছে আঁশ, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। দিনে অল্প পরিমাণ ডার্ক চকলেট খেলেও ৫০ ভাগ পর্যন্ত হৃদ্রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। নিয়মিত চকলেট খেলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও শারীরিক প্রদাহ রোধেও ডার্ক চকলেট সহায়তা করে।
ডার্ক চকলেট আমাদের হৃদপিণ্ডে ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে বলে, রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে৷ অনেকেই অতিরিক্ত ফ্যাট থাকায় চকলেট খেতে চান না৷ ডার্ক চকলেটেও ফ্যাট রয়েছে৷ তবে মুফা (মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড) এবং পুফা (পলি আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড)৷ এগুলো ভালো ফ্যাট৷ আমাদের শরীরে ভালো ফ্যাটের প্রয়োজনীয়তা আছে৷
বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ডার্ক চকলেট! ডার্ক চকলেটে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, এল-আর্জিনিন এইচসিএল যা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। এ ছাড়া পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করতে ডার্ক চকলেট বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যৌন উদ্দিপনা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সবপুরুষ নিয়মিত সামান্য পরিমাণে হলেও ডার্ক চকলেট খান, তাদের যৌন ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি। বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমাতে, শুক্রাণুর সংখ্যা আর কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খান ডার্ক চকলেট।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Aparna Dutta