শিল্পে লগ্নি বাড়াতে বৈঠক মোদীর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কিছু দিন আগেই গিয়েছিলেন কাশীতে, বাবা বিশ্বনাথের দর্শনে। কাশীর বিশ্বনাথ করিডরেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাথে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ আরও ১১টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এছাড়া ছিলেন অজস্র গেরুয়া ধারি সন্ন্যাসী। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।  তবে বিশ্বনাথ দর্শন সেরে তিনি এবার মন দিয়েছেন দেশের আর্থিক ভাণ্ডারের দিকে। প্রায় দুই বছর ধরে অতিমারির কারণে দেশের অর্থনীতি রসাতলে। কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ, ছোট মাঝারি সব শিল্প বন্ধের মুখে কনটা আবার বন্ধও হয়ে গিয়েছে। তবে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায়ের ফলে, তবে তা যথেষ্ট নয়। এখনও জীবন সংগ্রাম চালাচ্ছে অসংখ্য মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান। বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, মুল্য বৃদ্ধি ঘটেছে পেট্রোল পণ্যের বাজারেও। বাজার দরে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। কেন্দ্রের দিকে বারবার ছুটে গেছে বিরোধীদের তির, বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার।

তাই খানিকটা চাপের মুখে পড়েই গতকাল দেশী বিদেশী বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি লগ্নি সংস্থার সাথে বৈঠকে বসেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘক্ষণ চলে আলাপ আলোচনা। এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লগ্নি সংস্থার আধিকারিকদের থেকে জানতেও চান ঠিক কি কি করলে আরও লগ্নি আসবে, লগ্নি টানতে কি কি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এদিকে আগামী বছরের বাজেটের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামান বিভিন্ন বৈঠক শুরুও করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। অন্যদিকে তিন কৃষি বিল এনেও কৃষি ক্ষেত্রকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, কৃষকদের আন্দোলনের চাপে এবং বিরোধীদের দাবিতে প্রত্যাহার করতে হয়েছে তিন কৃষি বিল। এমনকি প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী অফিস সুত্রে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী আগামী অর্থ বর্ষের বাজেটের জন্যই এই বৈঠক করেছেন। শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের  জন্য তিনি নিজেই লগ্নিকারি সংস্থা গুলির সাথে কথা বলেছেন”।

এদিন ফিকির বার্ষিক সম্মেলনে নিজের বক্তব্য রাখতে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ভরা সবাতেই কার্যত তিনি ভুল কাজের জন্য ক্ষমাও চান। তিনি বলেন, “৭ বছর হল আমরা ক্ষমতায় এসেছি, অনেক সিদ্ধান্তও নিয়েছি। কিন্তু এটা মানছি যে সব সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না, কিছু সিদ্ধান্ত আমরা ভুল নিয়েছি। কিন্তু আমাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, ভুল সবারই হয়। তবে গত ৭ বছরে কোন রকম দুর্নীতির আঙ্গুল কোন বিরোধী দল তুলতে পারেনি”। তিনি আরও দাবি করেন, খুব দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের ওপরে হয়ে যাবে। তবে রপ্তানি সংগঠন ফিও এর দাবি, ভারতের দরকার নিজের একটা জাহাজ সংস্থা। কারণ লকডাউনের ফলে দেশের রপ্তানি প্রায় বন্ধই ছিল, যার ফলে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ভারতের হাতে নিজস্ব জাহাজ সংস্থা থাকলে এটা হত না। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের নিজস্ব জাহাজ সংস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। তবে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য কৃষি আইন বাতিল হলেও দেশের চাষিদের আয় বাড়ানো এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।   

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News