#Pravati Sangbad Digital Desk:
ইরানের হিজাব আন্দোলন এবার শুধু রাস্তায় নয় , দেখা দিল বিশ্বকাপের মাঠেও। ২১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার ইংল্যান্ড ও ইরানের ফুটবল ম্যাচে পরাজিত হলো ইরান। তবে মাঠে হার হলেও মাঠের বাইরে জিতে গেল ইরানের মহিলারা। সোমবার ইংল্যান্ডের ফুটবল ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় দেশের শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করলেন ইরানের ফুটবলাররা। বিগত কয়েক মাস ধরে ইরানে চলে যাচ্ছে তীব্র প্রতিবাদ। সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে ইরানি যুবতী মাহসা আমিনিকে আটক করেছিল পুলিশ। সেই একটি মৃত্যুকে ঘিরে ঝর উঠেছিল ইরানে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রস্টান নেমেছিল বহু ইরানি মহিলারা। হিজাবে আগুন দিয়ে, হাওয়ায় চুল উড়িয়ে বর্তমান শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রথমে এই প্রতিবাদকে তীব্র ভাবে দমন করার চেষ্টা করেছিল ইরান সরকার। কিন্তু, সময়ের সাথে জোরালো হচ্ছে প্রতিবাদের শিখা। এই শিখা ছড়িয়ে পড়লো বিশ্বকাপের মাঠেও। ইরানের বেশ কয়েকজন ফুটবলার আগেই এই ঘটনায় যুক্ত থাকা প্রতিবাদীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছিলেন। জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনে খেলেন স্ট্রাইকার সর্দর আজমাউন। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আজমাউন লিখেছিলেন, "কী হবে, বড় জোড় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ব আমি। কোনও ব্যাপার না। ইরানি মহিলাদের মাথার চুলের জন্য আমি এই আত্মত্যাগ করতে রাজি আছি। এই স্টোরিটা ডিলিট হবে না। ওরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এত সহজে হত্যা করে চলার জন্য তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ইরানি মহিলারা দীর্ঘজীবী হোন"।
ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক এহসান হজসফি সাংবাদিক সম্মেলনে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে জানিয়েছিলেন, "আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। আমরা তাঁদের সমর্থন করি। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা তাঁদের সমব্যথী। স্বীকার করতেই হবে যে, আমাদের দেশের অবস্থা ঠিক নয়, জনগণ খুশি নয়। আমরা এখানে আছি মানে এমন নয় যে আমরা তাঁদের কন্ঠ হব না বা আমরা তাঁদের সম্মান করব না"। ফুটবল ম্যাচ স্টেডিয়ামে বসে দেখার অনুমতি পান না ইরানের মহিলারা। কিন্তু, কাতার বিশ্বকাপে তাঁদের সেই অনুমতি মেলে। লাল-সাদা-সবুজ – ইরানের জাতীয় পতাকার সাথে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করছেন তারা। স্টেডিয়ামের মধ্যে তাঁরা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরছেন ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনের স্লোগান – "নারী, জীবন, স্বাধীনতা"।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Papri Chakraborty