চিকিৎসকদের মতে , সন্তানের ওজন যদি জন্মের সময় ৩.৫ কেজির বেশি থাকে বা গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডায়াবেটিস থাকে বা মা - বাবা কারোর হাই সুগার থাকে তাহলে সন্তানের ডায়াবিটিস হতে পারে। আজ অর্থাৎ সোমবার বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবস। সেই সঙ্গে আজ শিশু দিবসও। সন্তানের বয়স ১০ বছর হয়ে গেলে অন্তত বছরে একবার করে রক্ত পরীক্ষা করা দরকার। সুগারের মাত্রার জন্য প্রয়োজন। ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞরা জানান , শিশুদের শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণ কমে গেলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। এই ধরনের ডায়াবিটিসকে জুভেনাইল ডায়াবিটিস বলা হয়। আরেক ধরনের ডায়াবিটিসে ইনসুলিন ক্ষরণ না কমলেও কোষস্তরে তা ঠিকভাবে কাজ করে না। এর ফলে বেড়ে যায় ব্লাড সুগার। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ' মূলত স্থুলত্ত্ব ও জীবনসৈলির সমস্যা সহ অন্য কয়েকটি কারণে আজকাল শিশুরাও টাইপ - ২ ডায়াবিটিসে ভুক্তে শুরু করেছে। করোনার সময় দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আরও বেশি সংখ্যক শিশু ডায়াবিটিসের শিকার হয়েছে। ফলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার নজিরও বেড়ে গিয়েছে'। এন্ডক্রিনোলজি বিশেষজ্ঞ সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ' কয়েক বছর আগেও ১০০ জন ডায়াবিটিস রোগীর মধ্যে শিশু - কিশোর পেতাম বড়জোর ২ জন। আর এখন পাচ্ছি গড়ে ৬ - ৭ জন করে'। পেডিয়াট্রিক এন্ডক্রিনোলজিস্ট বলেন, ' সময়ে জন্মানো যেসব শিশুর জন্মের সময়কার ওজন ২.৫ কেজির কম , তারা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি মোটাসোটা হয়ে ওঠে তাহলে তাদের ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক বেড়ে যায় '। তিনি আরো জানান, এই ধরনের শিশুদের বেশি করে বাড়িতে খাওয়ানো হয়। কিন্তু সেই খাবারে কার্বোহাইড্রেট - প্রোটিন ও ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় থাকে না। পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে বলেন , ' মাতৃদুগ্ধ মিষ্টি হয়না। কিন্তু স্তন্যপান বন্ধ হওয়ার পরে বাচ্চাকে যে দুধে খাওয়ানো হয় তাতে চিনি দিয়ে বাচ্চার সুগার টিথ তৈরি করা হয়। যার ফলে পরে ডায়াবিটিসের জন্ম হয় '। ছোটদের ডায়াবিটিস না হওয়ার জন্য গোরু - মোষের দুষ খেলে তা চিনি ছাড়া খাওয়াতে হবে। অত্যাধিক বেশি ভাত, রুটি বা মিষ্টি খাওয়ানো যাবে না। তার বদলে ডাল - মাছ - মাংস - সবজি খাওয়াতে হবে। ' রিস্ক ফ্যাক্টর ' থাকলে ১০ বছর হওয়ার পর থেকে বছরে একবার বাচ্চার রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। পাস্তা - নুডুলস এর মধ্যে সবজি , সোয়াবিন, ডিম , মাংস বেশি পরিমাণে থাকতে হবে।