দেশের প্রথম বেসরকারি রকেট বিক্রম-এস-এর সফল উৎক্ষেপণ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মহাকাশে পাড়ি দিল ভারতের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট 'বিক্রম-এস'। ইসরো সূত্রের খবর, উৎক্ষেপণের পর সফল ভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায় 'বিক্রম-এস'। 'বিক্রম-এস' একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে শুক্রবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয় হায়দরাবাদের বেসরকারি সংস্থা 'স্কাইরুট এরোস্পেস'-এর তৈরি রকেটটির। 'স্কাইরুট এরোস্পেস'-এর এই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল 'প্রারম্ভ'। প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি প্রথম রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে ভারতের স্বনামধন্য গবেষক তথা মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে । 'বিক্রম-এস'-এর নির্মাতা সংস্থার সিইও পবনকুমার চন্দানা চলতি মাসের গোড়ায় জানিয়েছিলেন, তাঁদের রকেট নির্মাণের কাজ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে উত্‍ক্ষেপণ হবে। ইসরোর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইঞ্জিনের কিছু খুঁটিনাটি পরীক্ষার কারণেই সময়সীমা আরও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সফল উত্‍ক্ষেপণের কথা নির্মাতা সংস্থার তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে। বিক্রম-এস' একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ঢালাও সংস্কারের পথে এগিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সিদ্ধান্ত হয় শুধুই ইসরো নয়, ভারতে এ বার মহাকাশে পাড়ি জমানোর রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও। বানাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। 

এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্রীহরিকোটার ইসরোর লঞ্চপ্যাড থেকে বিক্রম-এস রকেটের সফল উত্‍ক্ষেপণ হয় । যে রকেটে পৃথিবীর কক্ষপথে ৩টি ছোট স্যাটলাইট পাঠানো হয়েছে । স্কাইরুট অ্যারোস্পেস নামে ওই বেসরকারি সংস্থা তৈরি বিক্রম-এস রকেটের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে ইসরোর বিজ্ঞানীদের হাতে । এদিন ইসরোর মিশন কন্ট্রোল সেন্টার থেকে এই উত্‍ক্ষেপণের সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন দেশের স্পেস রেগুলেটরের চেয়ারম্যান পবন গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, ''আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, মিশনের শুরুটা সাফল্যের সঙ্গেই করা গিয়েছে। স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের যাত্রা শুরু হল । স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রকেটটি তার ১২১.২  কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে ৮৯.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে । আর রকেটটি সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে ।'' প্রসঙ্গত, এদিন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথরে এই মিশনের সূচনা করেন। যেখানে রকেটের মধ্য দু'টি দেশীয় সংস্থার এবং একটি বিদেশি সংস্থার স্যাটলাইট রয়েছে । 'ফান-সেট' নামে একটি ২.৫ কেজি ওজনের পেলোড পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে চেন্নাইয়ে অবস্থিত অ্যারোস্পেস স্টার্টআপ সংস্থা 'স্পেসকিডস'। যেটি তৈরি করেছেন ভারত, আমেরিকা, সিঙ্গাপোর এবং ইন্দোনেশিয়ার অ্যারোস্পেসের পড়ুয়ারা। এটি একটি সাব-অর্বিটাল স্যাটলাইট। দেশে মহাকাশ গবেষণায় ইসরো ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা গড়ার প্রস্তাবও বছর কয়েক আগে অনুমোদিত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছে, 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস)'।
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News