চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পিছনে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্র গবেষক, নিউটাউন, উত্তরপাড়া এবং জলপাইগুড়ির বাসিন্দাও রয়েছেন।
বুধবার সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান-৩। ভারতই বিশ্বের প্রথম কোনও দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গেল। চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনও সবার কাছেই অজানা। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে পৌঁছতে পারেনি। আর এই সাফল্যের পর ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের সময়ে ভার্চুয়ালি ইসরোর কন্ট্রোল রুমে যোগ দিয়েছিলেন নমোও। এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ গোটা দেশের রাজনীতিকরা এমনকী অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরোকে। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং রাশিয়ার পর ভারত।
চাঁদ থেকে একাধিক ক্লিকও পাঠিয়েছে সে। একদিকে যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করে ইতিহাস লিখেছে ভারত, সেই সময় বুধবারই নতুন মিশনের কথা ঘোষণা করলেন ISRO প্রধান এস সোমনাথ। বুধবার তিনি ভারতের প্রথম সৌর মিশন 'আদিত্য এল ১'-এর বিষয়ে ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সেরা পড়ুয়াকে 'চন্দ্রযান পুরস্কার' দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল - দুই রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা পড়ুয়াকে 'চন্দ্রযান পুরস্কার' হিসেবে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল বোসের।
চাঁদের মাটিতে মহাকাশযানের প্রথম সফল অবতরণ করায় রাশিয়া। ১৯৫৯ সালে ‘লুনা ২” চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণ করে। ১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম মানুষ পাঠায় আমেরিকা। অ্য়াপেলো মিশনে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে মানুষ। এরপর সফল চন্দ্রাভিযান ছিল চিনের চ্যাংই-৩ মিশন।
এই প্রথম ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO সৌর মিশনে অংশ নিতে চলেছে। সূর্যকে খুব কাছ থেকে চেনার-বোঝার চেষ্টা করবেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে সৌরমণ্ডল নিয়ে উল্লেখযোগ্য তথ্য ছিল NASA-র হাতে। এবার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলবে ISRO-ও। এবছর "সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আদিত্য এল ১-এর যাত্রা শুরু হবে।
ইতিমধ্যেই এই স্যাটেলাইটটি ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে।”
ভারতের জলবায়ুর উপর ঠিক কী প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ! এই মিশনের মাধ্যমে তা অনেকটাই স্পষ্ট হবে।
আদিত্য এল ওয়ান নির্ধারিত জায়গায় প্রতিস্থাপিত হলে সৌরমণ্ডলের উপর নজরদারি চালানো অনেক বেশি সহজ হবে।