মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি, পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি
মহাকাশে আটকে পড়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। তাঁর মহাকাশযানে ত্রুটি ধরা পড়েছে। আর তাই নির্ধারিত দিনে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। নাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বোয়িং স্টারলাইনারের প্রত্যাবর্তন বন্ধ করার কারণে তাঁরা এখনই পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না।
ফলে আরও কিছুদিন তাঁদের মহাকাশে থাকতে হবে। অভিযান শুরুর সময় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার সময়ও সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস।
মহাকাশযানের ফিরতি যাত্রা কবে হবে তার নির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি নাসা। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সুনীতার ফিরে আসতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে। এই খবর সামনে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশচারীদের পরিজনরাও উদ্বিগ্ন এই খবর সামনে আসার পর।
কিছুদিন আগেই অত্যাধুনিক ST-200 Boeng Starliner মহাকাশযানে সুনীতা ও তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর রওনা হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে। গত ৫ জুন তাঁরা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছন। সেখানে নানা গবেষণা করার কথা ছিল তাঁদের। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। সব কাজ সেরে ১৪ জুন পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেই দিন বদলে নাসা ২৬ জুন প্রত্যাবর্তন ধার্য করে। এখন জানা যাচ্ছে, ২৬ জুন তাঁদের ফেরানো হবে না। মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার দিন পিছিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে কবে ওই দুই মহাকাশচারী রওনা দেবেন সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি নাসা।
তবে ওই দুই মহাকাশচারীকে নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নাসা। খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান আছে পর্যাপ্ত। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নাসা। মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। স্টারলাইনার মহাকাশযানে থ্রাস্টার হিসেবে ২৮টি ছোট রকেট ব্যবহার করা হবে। ওই রকেটগুলির ছিদ্রপথে বার বার বেরিয়ে আসছে হিলিয়াম গ্যাস।