বর্তমান যুগের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ছাড়া জীবন আজকাল ভাবতেই পারি না আমরা। কোনও কারণে একদিন সঙ্গে ফোন না থাকলেই নিজেকে পাগল পাগল লাগে, তাই না? মোবাইলের এই নেশা ছড়িয়ে পড়েছে ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেও। ২-৩ বছরের বাচ্চারাও স্মার্টফোন কী ভাবে চালাতে হয় জানে। এই করোনা আবহে অনলাইন ক্লাসের কারণে বাচ্চাদের মধ্যে আরও বেড়ে গিয়েছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। কিন্তু তারা স্মার্টফোন নিরাপদে ব্যবহার করছে তো? হাতে স্মার্টফোন মানেই সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকসেস। কিশোর বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কোনও ভুল করে ফেলছে কিনা, সেই বিষয়ে কিন্তু বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষ করে করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনে পড়াশোনার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এর ফলে তাদের দিন দিন চোখের সমস্যা বাড়ছে। অনেক শিশুদেরই এখন নিয়মিত চশমা ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এর পাশাপাশি মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুরা নানা মানসিক সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে। জরায়ুর সমস্যা বা চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখে জ্বালা ভাব, ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হলে বাবা-মায়েদের যথাশীঘ্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
বাচ্চাদের কখন স্মার্টফোন দেওয়া উচিত?
স্মার্টফোনের ক্ষতি এবং উপকারিতা সম্পর্কে শিশু যদি বুঝতে পারে, তবে এটা বোঝা উচিত যে সে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য তৈরি। কিন্তু যদি সে আপনার কথা এড়িয়ে যায় এবং কথা শুনতে নারাজ হয়। তাহলে বুঝতে হবে যে সে এখনও এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। আজকাল, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন থাকে। আপনিও যদি এই বয়সে আপনার সন্তানকে একটি ফোন দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই সমস্ত অ্যাপ এবং ওয়েব সার্চ লক করে দিন, যার তার প্রয়োজন নেই।
যা যা করতে হবে
আপনি যদি বাচ্চাদের ফোন দেন, তাহলে ফোনে কন্ট্রোলও ব্যবহার করুন, যাতে বাচ্চারা কী করছে সে সম্পর্কে আপনি তথ্য পেতে পারেন।
শুরুতে বাচ্চাদের বেসিক ফোন দিন, যাতে তারা কেবল কল করতে পারে।
আপনি আপনার সন্তানের জন্য স্ক্রিন টাইমও সেট করতে পারেন।
এছাড়াও বাচ্চাদের বলুন যে তারা ফোনে কী করছে তা যেন সে জানায়।
বাচ্চাদের ফোনের পাসওয়ার্ড জানার চেষ্টা করুন এবং তাদের বলুন, এটি তাদের নিজেদের ভালর জন্য।
শিশু যখন ঘুমোতে যায়, তার আগে এক ঘণ্টা তাকে ফোন থেকে দূরে রাখুন এবং এর উপকারিতা ব্যাখ্যা করুন।