টিম পেইনের পরে কে হবে যোগ্য অধিনায়ক তা নিয়ে বহুদিন ধরেই ভাবাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডকে। টিম পেইনের যৌন কেলেঙ্কারি বিতর্কের জেরে তিনি নিজেই দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান। হঠাৎ পেইনের এই সিদ্ধান্তের জেরে তড়িঘড়ি নতুন ক্যাপ্টেন খুঁজতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড, কারণ হাতে সময় খুব কম, অ্যাসেজ সিরিজ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। এই মধ্যেই টিমের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নাম ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৫৬ সালের পর এই প্রথম কোন বোলার পেলেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ক্যাপ্টেনের আসন। তবে সহঅধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্টিভেন স্মীথকে। প্যাট কামিন্স ক্যাঙ্গারু ক্রিকেট দলের ৪৭ তম অধিনায়ক। অধিনায়ক নির্বাচন করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড, আর কমিটির মতে এগিয়ে থাকলেন প্যাট কামিন্স। ৬৫ বছর পরে কোন বোলার পাকাপাকি ভাবে ক্যাপ্টেনের আসন দখল করলেন।
নতুন অধিনায়কের বক্তব্য, “ অ্যাসেজ সিরিজের আগে আমাকে এই ভুমিকায় দেওয়ার জন্য আমি অভিভূত, আশা করি পেইন যেই ভাবে আমাদের পথ দেখিয়েছেন, আমিও সেই পথেই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবো”। এর আগে প্রায় ২ বছর টিম পেইনের সান্নিধ্যে তিনি সহঅধিনায়কের ভুমিকা সামলেছেন। তবে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়টা খুব সহজ ছিল না কামিন্সের পক্ষে, রীতিমত পাঁচ সদদ্যের সঙ্গে চলে প্রশ্ন উত্তর আদান প্রদানের পর্ব, সেই দৌড়ে ছিলেন স্টিভেন স্মীথও। ৮ই ডিসেম্বর ব্রিসবেনের অ্যাসেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হলে প্যাট কামিন্সের নতুন পথ চলা।
প্যাট কামিন্সের মতে সহঅধিনায়ক হিসাবে স্টিভেন স্মীথের মতই দক্ষ এবং প্রতিভাবান মানুষকেই চাইছিলেন তিনি, অ্যাসেজ সিরিজের মতো যে কোন ম্যাচ শুরু আগে বা ম্যাচ চলাকানীন কৌশলগত পরামর্শের জন্য তিনি স্টিভেন স্মীথের অপরেই ভরসা করবেন। এছাড়া প্লেয়ারদের সাজানোর জন্যও তিনি স্টিভেন স্মীথের সাহায্য নেবেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে বিশ্বের কাছে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা তিনি তার আস্থা ভাজন স্টিভেন স্মীথের সাথে এবং গোটা দলের সাথে একত্রিত হয়ে করবেন। প্যাট কামিন্স দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে অস্ট্রেলিয়ান দলের প্রাক্তন উইকেট কিপার এডাম গিলক্রিস্ট তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন , “ প্যাট কামিন্স একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, দীর্ঘ ২ বছর তিনি দলের সহঅধিনায়ক থেকেছেন, তার অভিজ্ঞতা সময়ের সাথে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকে অনেক সাহায্য করবে”। সহঅধিনায়ক স্টিভেন স্মীথের বক্তব্য , “ কামিন্সের পাশে থাকতে পেরে আমি খুশি, আমি কামিন্সকে সবরকম ভাবে সাহায্য করব”।
অধিনায়কত্বে
দৌড়ে প্যাট কামিন্স এবং স্টিভেন স্মীথ ছাড়া আর কারোর নাম
শোনা যায়নি, তবে দলেরই আর এক স্পিনার
ন্যাথন লিয়ঁকে খানিকটা মজার ছলে বলতে শোনা গেছে, “ তাঁকে যদি অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হত, তাহলে তিনিও ভালো ভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করতেন, কিন্তু দল তাঁকে সেই
সুযোগ না দিয়ে ভালোই
করেছে, কারণ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে এক প্রথা রয়েছে
ড্রেসিং রুমে গান গাওয়া, আর সেই গানকে
নেতৃত্ব দের লিয়ঁ, তাই দলের অধিনায়ক হওয়ার জন্য সঙ্গীত গুরুর জায়গাটি তিনি কোন ভাবেই ছাড়তে রাজি নন”।