সময় মতো TAX দেন তো? জেনে নিন কী কী ক্ষেত্রে আপনাকে INCOME TAX দিতে হবে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নির্দিষ্ট সীমার ওপরে আর্থিক লেনদেনে কর দিতে হয় আয়কর বিভাগকে।তবে দেখা যায় একটা দেশের একটি বড় অংশ আয়কর নিয়ে সচেতন নন।কিন্তু সঠিক সময়ে যদি আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হয়,তাহলে তা গ্রেফতারি পর্যায়ে পর্যন্ত চলে যেতে পারে।সেই কারণেই আয়কর দাখিল করার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া জরুরি।তবে শুধুমাত্র যে আয়কর দাখিল তা নয়,আর্থিক লেনদেনের উপরেও বিশেষ নজর দেয় আয়কর বিভাগ।তাই কোন কোন লেনদেনের ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো উচিত,তা জানা প্রয়োজন।
একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেই আর্থিক লেনদেনের উপরে নজর রাখছে আয়কর বিভাগ।কিন্তু ছোটখাটো লেনদেন নয়।একটি নির্দিষ্ট সীমার উপরে লেনদেন হলে,তবেই তা নজরদারির আওতায় পড়ে আয়কর বিভাগের।এমনকি করদাতারা যাতে নিজেদের বকেয়া কর নিয়ে সচেতন হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কর প্রদান করেন, তার জন্যও নিয়মিত মেসেজ ও ই-মেইলও পাঠানো হয়।
আয়কর বিভাগের নজরদারির আওতায় যেগুলি পড়ে-
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট: সেভিংস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে যদি কোনও অর্থবর্ষে যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয়,তবে সেক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক।
ঠিক একইভাবে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও কোনো অর্থবর্ষে যদি ৫০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয়,তবে সেই ক্ষেত্রেও আয়কর বিভাগকে সেই লেনদেনের তথ্য জানানো সহ নির্দিষ্ট অঙ্কের করও দিতে হয়।
ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট: অনেকেই মনে করেন ফিক্সড ডিপোজিটে যত ইচ্ছে অর্থ জমা রাখা যায় এবং আয়কর বিভাগকে কোনো তথ্যও জানাতে হয় না।তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
১০ লক্ষ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিটে জমা রাখলেই,সে সম্পর্কে আয়কর বিভাগকে জানাতে হবে।তবে এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককেও সতর্ক থাকতে হবে।এক বা একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট মিলিয়ে যদি জমা রাখা টাকার অর্থ ১০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বসীমা ছাড়ায়,তবে আয়কর বিভাগের ফর্ম ৬১ এ ফিলআপ করে সেই তথ্য অবশ্যই জানাতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল:
যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১ লক্ষ টাকার বেশি কোনও লেনদেন হয়, সেক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। আয়কর বিভাগ ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের উপরে নজর রাখে।প্রসঙ্গত কেউ যদি ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট গোপন রাখার চেষ্টা করেন,তবে আয়কর বিভাগের তরফে নোটিশ পাঠানো হবে।
স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচা:
যেকোনো স্থাবর সম্পত্তি,যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকার বেশি,তা বেচা-কেনার সময়ে অবশ্যই আয়কর দফতরকে জানাতে হয়।
বিদেশি মুদ্রার বিক্রয়:
যদি কেউ বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন,তবে সেক্ষেত্রেও কোনো অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ বা তার বেশি লেনদেন হলেই,তা আয়করের আওতায় পড়ে।
এছাড়াও,যেকোনো শেয়ার,বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এক অর্থবর্ষে আর্থিক লেনদেন ১০ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।কিন্তু যদি তার বেশি লেনদেন হয়,তবে ফর্ম ২৬এ পূরণ করতে হবে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Riya Some

Related News