এই
ম্যাচ শুরুর আগে যা ভাবা হয়েছিল
তাই সত্যি হলো, ৩-১ গোলে
এফসি গোয়াকে ফূৎ কারে উড়িয়ে দিল জামশেদপুর এফসি। আবারো গোয়ার সেই ডিফেন্সিভ প্রবলেমের জন্য আজ তাদের তিন
তিনটি গোল হজম করতে হলো। জামশেদপুর এফসি সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে এসেছিল ৩ পয়েন্ট নিয়ে
যাওয়ার জন্য, আর সেই কাজে
তারা সম্পূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে এবং ২ ম্যাচে ৪
পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে। আর এফসি গোয়া
২ ম্যাচে ০ পয়েন্ট নিয়ে
লীগ টেবিলের শেষে অবস্থান করছে।
আজ
শুরু থেকেই জামশেদপুর এফসি সমস্ত খেলোয়াড়রা তাদের অসাধারণ খেলার মাধ্যমে মন কেড়েছিল ফুটবল
প্রেমীদের, তাদের দলের যে সব খেলোয়াড়রা
অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলেছেন তাদের নাম না নিলেই নয়,
ভাস্কিচ, জর্ডান মুরে, গ্রেগ স্টেওয়ার্ট আন্ডার ১৯ ফুটবল বিশ্বকাপে
খেলা কোমল ঠাঠাল এবং তাদের আগের ম্যাচে একটি মাত্র গোল দেওয়া ডিফেন্ডার হার্টলি। ম্যাচের প্রথম থেকেই ভাস্কিচ, কোমল ঠাঠালরা মাঠের বা দিকটা এতটাই
সচল রেখেছিল যে গোয়ার ডিফেন্ডারদের
কে তাদের সামলাতে অত্যন্ত কষ্ট করতে হচ্ছিল। সারা ম্যাচে কখনোই মনে হয়নি যে গোয়া আজকের
ম্যাচটি তে জিততে পারে।
আজ জামশেদপুর এর দলটি এতটাই
ব্যালেন্স ছিল যে প্রথমার্ধে এবং
দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যভাগ পর্যন্ত গোয়া একবারের জন্যও খেলায় ফিরে আসতে পারেনি, শেষদিকে অবশ্য জামশেদপুর এফসির ডিফেন্সের কিছু ভুলের জন্য গোয়ার খেলোয়াড়রা আক্রমণ করেছিল এবং ১ গোল করেছিল।
জামশেদপুর প্রথমার্ধে ভালো খেলার পরও গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই গোল পান ভাস্কিচ, ৫১ মিনিটে স্টেওয়ার্ট গোয়ার পেনাল্টি বক্সে একটি দুর্দান্ত পাস বাড়ান যা সোজা ভাস্কিচের পায়ে গিয়ে পড়ে এবং খুব সহজেই তিনি সেই থ্রু বল টি কে গোলে পরিবর্তিত করেন। আজ হয়তো গোয়ার গোলকিপার ধীরাজ সিং ছিলেন বলেই তিন গোলের বেশি গোল খেতে হয় নি গোয়া কে, ধীরাজ তিন গোল খেলেও আজ তিনি অসাধারণ কিছু সেভ দিয়েছেন, ভাস্কিচ এর অনেক গুলি দূর্দান্ত শটকে গোলে পরিবর্তিত হতে দেননি।
৬১
মিনিটে স্টেওয়ার্ট এর একটি ফ্রী
কিক কে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত
ভাবে ভাস্কিচ একটি হেড দেন, যা ধীরাজ সিং
এর ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছিলো। ৮০ মিনিটে জামশেদপুরের
জর্ডান মুরে পেনাল্টি বক্সে গোয়ার ডিফেন্ডারদের একটি মিস পাস মুরে পেয়ে যান, এবং সেখান থেকে বলটিকে গোলে ফিনিশ করাটা তার কাছে খুব অসুবিধার ছিল না, সেখানেই জামশেদপুর ৩-০ গোলে
এগিয়ে যায়।
৮০
মিনিটে মুরের গোলটি হওয়ার পর থেকেই জামশেদপুরের
খেলার রাশ আলগা হয়ে যায়, এবং তাদের ডিফেন্সে জায়গা ফাঁকা হতে থাকে, সেখান থেকেই গোয়ার আক্রমণভাগের প্লেয়াররা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এবং ৮৬ মিনিটে এইরাম
কিছু শর্ট পাসের মাধ্যমে একটি গোল দেন। যদিও এই গোলটি গোয়ার
কাছে সান্তনা পুরস্কার হিসেবে রয়ে যাবে, ওই গোলের জন্য
গোয়ার শুধুমাত্র গোল ডিফেন্সই একটু কমলো তাছাড়া আর কিছুই না।
আজ ম্যাচের ম্যান অব দ্যা ম্যাচের
পুরস্কার টি পান ভাস্কিচ।
ম্যাচের
শেষ দিকে জামশেদপুরের খেলার রাশ আলগা করে দেওয়া তাদের কোচের কপালে একটু হলেও চিন্তার ভাঁজ দেখা দেবে। যদিও আজ সবে জামশেদপুর
তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেললো তাদের কাছে এখন অনেক সময় এই ভুলগুলি কে
ঠিক করে নেওয়ার। আর গোয়ার কাছেও
এখনো অনেক সময় আছে প্রত্যাবর্তনের, আজকেও তাদের সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হলো, তাদের সমস্ত খেলোয়াড়রা তাদের দলের একটি মাত্র খেলোয়াড় এদু বেদিয়ার ওপর একটু বেশিই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। গোয়ার কোচ ফার্নান্ডো যদি এই সমস্যার কোন
সমাধান না করেন তবে
তাদের লিগ টেবিলে প্রথম চারে উঠে আসতে অনেক অসুবিধা হবে।