একসময় বার্সেলোনায় মেসি, নেইমার আর সুয়ারেজের জুটি ছিল আক্রমণের এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। বার্সেলোনার 'এমএসএন' ত্রয়ী সেসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছিল, এবং একে অপরের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় একাধিক শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু কয়েক বছর পর তাদের পথ আলাদা হয়ে যায়, নেইমার চলে যান প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি), সুয়ারেজ চলে যান অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, এবং মেসি অবশেষে চলে যান ইন্টার মিয়ামিতে। তবে সম্প্রতি, মেসি এবং সুয়ারেজের একসাথে খেলার দৃশ্য আবার ফুটবল দুনিয়ায় ফিরে এসেছে। তাদের রিকানেকশন ফুটবলপ্রেমীদের মনে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে নেইমারের ঘরোয়া ক্লাব সঙ্ঘের রূপান্তরের বিষয়টি। নেইমার নিজেই মজারভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন, একসময়কার এই তিন বন্ধু আবার একসাথে খেলতে পারেন। তাঁর বক্তব্য, “"মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে আবার খেলতে পারলে দারুণ হবে। ওরা আমার বন্ধু। এখনও আমরা কথা বলি। আমাদের তিনজনের জুটিকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাই যায়। যদিও আমি আল-হিলালে এখন ভালোই আছি। কিন্তু ফুটবল মানেই তো চমক। ভবিষ্যতে কী হয় কে বলতে পারে?"
পুস্পা ২ পুনরায় রিলিজ হচ্ছে ১১ই জানুয়ারি
প্রসঙ্গত, নেইমার বার্সেলোনায় আসেন ২০১৩-১৪ মরশুমে। সুয়ারেজ পরের বছর। তৈরি হয় MSN ত্রয়ী। বর্তমানে নেইমার সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে খেলছেন। পিএসজি ছাড়ার পর তাকে অনেক সময়ই যুক্ত করা হয়েছিল ইন্টার মিয়ামির সঙ্গে, তবে সেবার সে সুযোগটি হয়নি। নেইমার জানাচ্ছেন, “আমার পিএসজি ছাড়ার সময় আমেরিকার দলবদলের বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তাই ইন্টার মিয়ামি যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে সৌদির প্রস্তাব আমাকে অনেক ভালো লেগেছিল, আর সে কারণেই সৌদি প্রো লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এছাড়াও, নেইমার তার ভক্তদের জন্য এক দুঃসংবাদও দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের চোটের কারণে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারছেন না, এমনকি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন পর্বেও অংশ নিচ্ছেন না তিনি। তবে, ৩২ বছর বয়সি এই তারকা জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। তিনি বলেছেন, “আমি জানি, ২০২৬-এ বিশ্বকাপে খেলা আমার শেষ সুযোগ হতে পারে। আমি সেটাই চাই। আমার জাতীয় দলে ফেরার জন্য আমি সব কিছু করতে প্রস্তুত।” নেইমারের বিশ্বকাপের প্রতি অটুট অনুরাগ এবং তাঁর মানসিকতা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে একটা স্পষ্ট বার্তা: পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে তিনি পিছপা হবেন না। কিন্তু ২০২৬-এর মঞ্চে কি তিনি শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন? সময়ই বলবে।