BSNL ও MTNL বিক্রির পথে কেন্দ্র, লক্ষ্য প্রায় হাজার কোটি টাকার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিকেন্দ্রীকরণের পথে অনড় কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এম টি এন এল এর অনেকাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। যা নিয়ে চরম আপত্তি প্রকাশ করেছে দুই সংস্থারই কর্মীরা। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারি সম্পদ পরিচালনার দপ্তর(DIPAM) দুই সংস্থারই সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রির জন্য দরপত্র চেয়েছে। এই দুই সংস্থা বিক্রির ন্যূনতম দাম ধরা হয়েছে 970 কোটি টাকা।


এইদিন জানানো হয় যে বিএসএনএলের হায়দ্রাবাদ, চন্ডিগড় ও ভাবনগরের সব সম্পত্তি ন্যূনতম 660 কোটি টাকা এবং এমটিএনএল এর 310 কোটি টাকা। এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেড় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছে পুরওয়ার। তবে এই বিষয় নিয়ে চরম সমালোচনা করেছে বিএসএনএলের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ মিত্র। তার কথা অনুযায়ী যদি দুই সংস্থা নিজেরাই তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতো তাহলে হয়তো সংস্থার হাতে কিছু টাকা আসতো কিন্তু কেন্দ্রের তরফ থেকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তাতে সংস্থার কোষাগারে কত টাকা জমা করতে পারে তা নিয়ে সংশয় আছে।

কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী বিকেন্দ্রীকরণ এর ফলে লাভ হবে সংস্থাগুলিরই। বিকেন্দ্রীকরণের দ্বারাই  অনেক বেশি উন্নত করা যাবে এই টেলিকম সংস্থাগুলিকে। কাজ পাবে আরো অধিক মানুষ। এ বছরের বাজেট পেশ করার সময়ই দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা এল আই সি আই তে নিজের অংশীদারিত্ব বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম। এছাড়াও আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, রেল প্রকৃতি বিলগ্নীকরণ এর মাধ্যমে আয়ের পথ দেখায় কেন্দ্র। বাজেটের সময় বিভিন্ন সরকারি সংস্থার একাংশ বিক্রির মাধ্যমে যে পরিমাণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল তা পূরণ করতেই তৎপর কেন্দ্র। বিএসএনএলের সূত্রে খবর তাদের সম্পত্তির মধ্যে নিযুক্ত আছে একাধিক অফিস এবং ফ্ল্যাট যা দেড় বছরের মধ্যে বেঁচে ফেলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।


2020 তে বিলগ্নীকরণ এর মাধ্যমে 1.05 লক্ষ্য কোটি টাকা আয় এর লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। 2000 21 সালের আর্থিক বছরে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে তার দ্বিগুণ অর্থ উপার্জনের লক্ষ্য রেখেছে সরকার।

তবেই কর্মীদের দাবি নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য সব বেসরকারি সংস্থা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। ফলে তাদের পরিষেবা হয়েছে অনেক উন্নত। কিন্তু বিএসএনএল এর মতন সরকারি সংস্থা গুলি কোন রকম উন্নতি হয়নি। অন্যান্য সংস্থায় যেখানে 5জি, 6জি বর্তমান সেখানে বিএসএনএলের মত সংস্থায় 4জি চালু হাওয়াতেও ছিল ঢিলেমি। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়েছে তারা। যথেষ্ট সংস্কারের মাধ্যমে নতুন রূপে পরিষেবা চালু করলে তা থেকে আয়ের এর মাত্রা বাড়তে পারে বহুগুণ। কর্মীদের পক্ষ থেকে এমনটাও শোনা গেছে যে তারা আন্দোলনের পথ বেছে নেবে। বিএসএনএলের এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছে।

 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News