বেড়েই চলেছে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, কি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার?

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রশাসন কিংবা কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয় দিয়ে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া, তাদের নিরুদ্দেশ থাকার যেসব ঘটনা ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে ভুক্তভোগীদের তরফে রাজনৈতিকভাবে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অবশ্য এসব মানুষের নিরুদ্দেশ থাকার ব্যাপারে নিজেদের দায়দায়িত্ব অস্বীকার করছে। কিন্তু ‘তুলে নিয়ে যাওয়া’ মানুষগুলো কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষগুলো কোনো খোঁজখবর দিতে পারছে না। তাহলে কি এটাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতির লক্ষণ নয়? মানুষের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব কার? কেউ অপহূত হলে তাকে উদ্ধার করা এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দায়িত্ব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তো এড়াতে পারে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। বেশিরভাগ ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। 
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এনিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে বাংলার রাজনীতি। এবার বিজেপি সাংসদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের ওপর যেভাবে বেছে বেছে হামলা করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করেন যে পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে। যদি কেন্দ্রীয় সরকার চায়, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে তাঁরা। পাশাপাশি ওই কংগ্রেস নেতা আরও অভিযোগ করেন যে বিজেপি রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপের দাবি করলেও, দিল্লিতে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে সদভাব বজায় রেখে চলেছে। যদিও কংগ্রেস নেতার এই বিবৃতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস, দুই দলের মধ্যে কোনও চুক্তি না হলেও, দুটি দলই সংসদে অনেক নীতিগত বিষয়ে একমত হয়েছে। এখন দেখার বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেস অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্যে কী প্রতিক্রিয়া দেয়। ক্রমশই অবনতি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য বিজেপির। এবার তাই একেবারে কেন্দ্রীয় স্তরে অভিযোগ জানাতে চান তাঁরা। সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সময় চাইল রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এই কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। মুর্শিদাবাদের নৃশংস হত্যাকান্ড এবং রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগেই এই পদক্ষেপ করছে রাজ্য বিজেপি। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা তা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্তি করেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই হামলার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন প্রবীণ বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News