ভোটে ভরাডুবির পর বিজেপির একসঙ্গে এতগুলি ইস্তফা কেন ? প্ৰশ্ন অনুপম হাজরার!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ । বিজেপির জেলা সাংগঠনিক পদের মাথায় অযোগ্য, দুর্বল অদক্ষ ব্যক্তিরা বসে। সেটিকে কটাক্ষ করেই বিস্ফোরক পোস্ট করেন অনুপম হাজরা। তিনি পোস্টে,আসল রহস্যটা কি। কেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার বিশ্লেষণ করা উচিত। আমি যতদূর জানি গৌরীশংকর বাবু একজন ভালো সংগঠক। পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপি নেতার একের পর এক পদত্যাগ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন অনুপম হাজরা আগেই মুখ খুলেছেন সৌমিত্র খাঁ। এবার ফেসবুকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এবার তোপ দাগলেন তিনি। এদিন ফেসবুকে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত। আমি যতদূর জানি গৌরিশঙ্করবাবু একজন ভালো সংগঠক। যাদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল, তারা সব দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, তাঁর ইস্তফা দিচ্ছেন। যখন পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে ভয় পেত অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপির সুযোগ দেওয়া রাজিব সব্যসাচী এবং কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে। বিজেপিতে যোগদান করে রাস্তায় নেমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্দোলন করেছিল যখন অন্যদের মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যেত না। তৃণমূলের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ কেস খেয়েছে আর এখন প্রতিনিয়ত দাদা মাঠে নামুন আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না কেন? শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে লেকচার দিলে হবে?


এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন, কিন্তু তবুও রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে দিল্লিতে বা অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আসল রহস্যটা কি। অনেকেই কমেন্ট করেছেন তার এই পোস্টটিতে। লিখেছেন একমাত্র বিজেপি পার্টিতে যোগ্যতা দেখে বিচার করা এবং সেই ভাবে যোগ্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। আবার একজন লিখেছেন বেচারটাকে কে করবে,নিজের থেকে পরের বিচার করতে পারলে ভালো। ' মূলত শনিবার রাজ্যে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। যদিও তা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। যদিও যিনি নিজেই ভোটে দাঁড়িয়ে হারলেন, আসানসোলের সেই বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্র৷ পাল কিন্তু বলেছেন অন্য কথা। তিনি হারটা স্বীকার করে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে‘সরি’ বলে জানিয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কমেছে বালিগঞ্জে, যদিও শাসকদলের উপর দোষ চাপালেও অগ্নিমিত্র৷, সৌমিত্র খাঁ এবং এই মুহূর্তে অনুপম হাজরার মুখ খোলায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Tags:

Related News