স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২০০কোটি টাকার বকেয়ার আর্জি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

স্বাস্থ্যভবনে ২০ টি হাসপাতালের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই হাসপাতালের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর কোনোভাবেই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। যতক্ষণ বকেয়া না মিটছে ততক্ষণ এই কার্ডটির পরিষেবা সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ করে দেব আমরা।
বর্তমানে আপনারা সকলেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আসল গুরুত্ব সম্বন্ধে বিশেষভাবে অবগত। দেশের সমস্ত নাগরিকরা এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা পান। যে কোনও সাধারণ ব্যক্তিই রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও কয়েকটি বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে এই 'স্বাস্থ্যসাথী' কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে নিজেদের চিকিৎসা করতে পারেন অনায়াসেই। এমনি যেকোনও বড় অপারেশনের ক্ষেত্রেও এই কার্ডটি দেখালে আপনি ক্যাসলেশ চিকিৎসা করাতে পারেন। এছাড়াও প্রয়োজনে হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম থেকে রোগীরা ছাড়া পেলে তাদের পর পর পাঁচদিন সরকারের তরফ থেকে যাতায়াতের খরচ ও বিনামূল্যে ওষুধ খরচে দেওয়া হবে। রাজ্যের তরফ থেকে সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পটির কারণে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
তবে বেশ কিছু মাস পূর্বে এই কার্ডের প্যাকেজ রেট নিয়ে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে বিশেষভাবে সমস্যা তৈরী হয়েছিল। চিকিৎসাক্ষেত্রের সময় ডাক্তারদের, প্যাকেজরেটের থেকে অধিক অর্থের প্রয়োজন হওয়ায়, ডাক্তার থেকে রোগী সকলকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই প্রকল্পটি সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ব্যবহার করার বাধ্যতামূলকভাবে আদেশ দিলে, তখন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই কার্ডটির প্যাকেজরেট বাড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ আবেদন জানান। কিন্তু, তাদের এই আবেদন এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ। এখনও বাড়ানো হয়নি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্যাকেজ রেট।
২০ টি বেসরকারি হাসপাতাল চিঠি মারফত স্বাস্থ্যভবনে প্যাকেজ রেট বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, তাদের ২০০কোটি টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে বকেয়া। যদি এই পরিমাণ বকেয়া না দেওয়া হয়, তাহলে হাসপাতাগুলিতে বন্ধ করে দেওয়া হবে এই কার্ডের পরিসেবা।

সূত্রের খবরানুযায়ী, এই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে জানা যাচ্ছে, তারা এর পূর্বেও কয়েকবার স্বাস্থ্যদফতরে এই বকেয়া মেটানোর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। ২০ দিনের মধ্যে তারা এই টাকা পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তারা এখনও পায়নি এই বকেয়ার টাকা। এর পরেই এই ২০ টি বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যভবনে চিঠি পাঠাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। ২০০কোটি টাকা বকেয়ার আর্জি জানিয়ে তারা সই করেছেন এই চিঠিতে। সেই সঙ্গে তাদের বক্তব্যানুযায়ী, প্যাকেজের দর না বাড়ালে সরকারের তরফ থেকে কোভিডের মুহূর্তে নির্ধারিত প্যাকেজে আর চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
যদিও এখনও অবধি এই চিঠির কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে। তবে সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, ২০ দিনের মধ্যে না হলেও কমপক্ষে ১ মাসের মধ্যেই মেটানো হচ্ছে এই টাকা।
অবশ্য এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবনের একাংশই মনে করছেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি তাদের মধ্যে চাপের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আবার সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালের এখন বকেয়া এত বড় অঙ্কেরও নয়। ১৭ তারিখেই তারা একটা টাকা অংশ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য দফতর।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sutapa Dey Sarkar

Tags:

Related News